আব্দুল্লাহ বাশার, ঝিনাইদহ
উদ্বোধনের লাল ফিতায় আটকে আছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের গ্রাম্য এম্বুলেন্স সার্ভিস। সড়কে চলার আগেই অ-যত্ন আর অবহেলায় নস্ট হচ্ছে এম্বুলেন্স দুইটি। ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের এ মহতি উদ্যেগ,যা দেখার কেউ নাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা চিন্তা করে চালু করা হয়েছিল এ গ্রাম্য এ্যাম্বুলেন্স। এর অর্থায়ন করেছিল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচী(এডিবি)। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এ্যাম্বুলেন্স দুইটি দেয়া হয়েছিল উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে। যার মধ্যে ছিল এলাঙ্গী ও সাবদারপুর।
তবে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভা রয়েছে। তবে এ এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রাথমিক ভাবে চালু করা হয়েছিল দুইটি ইউনিয়নে। ভাল সুফল আসলে অন্যগুলোয়ও চালু করা হবে বলে জানিয়েছিল সংশ্লিষ্টরা।
তবে প্রাথমিক ভাবে চালু হবার পরই বন্ধ হয়ে যায় সার্ভিসটি। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে একে অপরকে দোষারোপ করে দায় এড়াচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে তাদের রশি টানাটানিতে গ্রাম্য এম্বুলেন্স দুইটি পড়ে থেকে নস্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, এডিপির বরাদ্দের টাকা দিয়ে ভ্যান কিনা হয়েছিল। এরপর ওই ভ্যানে ইঞ্জিন লাগিয়ে গ্রাম্য এম্বুলেন্স বানানো হয়। এটা একটা মহতি উদ্যোগ ছিল। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কতৃপক্ষের অবহেলায় তা ভেস্তে গেছে।
তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের এম্বুলেন্সটি আশাননগর গ্রামের বিপ্লবকে দেয়া হয়েছিল। সে কিছুদিন চালিয়ে ছিল। পরে ভাড়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমস্যা হয়েছিল। এ কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমা দিয়ে দেয়া হয় ওই সময়।
বিপ্লব জানান, এ গ্রাম্য এ্যাম্বুলেন্স সাভিস চালু হওয়ায় খুশি রোগী ও তাঁর স্বজনরা। এতে করে অল্প খরচে মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিতে যেতে পারছিল। অন্যদিকে আমার একটা আয়ের ব্যবস্থাও হয়েছিল।
এম্বুলেন্স সার্ভিস পেয়ে আসাননগর গ্রামের হীরা ও জেসমিন খাতুন বলেন,এ সার্ভিস চালু হওয়ায় আমাদের ভালই হয়েছে। আমরা অল্প খরচে পরিবহন সুবিধা পাচ্ছি। তবে কেন বন্ধ হয়ে গেল জানিনা।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন, উদ্ভোধন হয়েছিল। এটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা চালাতে পারেনি। এটা একটা ফেল প্রজেক্ট ছিল। দুইটি ভ্যানের মধ্যে একটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পড়ে আছে, আরেকটি সাবদারপুর ইউনিয়ন পরিষদে আছে বলে জেনেছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছাঃ শরিফুননেসা মিকি বলেন, ওই এম্বুলেন্সের একটি আমার সময় বানানো হয়। আরেকটি আগে বানানো ছিল।
তিনি বলেন, এম্বুলেন্স দুইটি পড়ে আছে মূলত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তার কারনে। তারা কোন সহযোগিতা করেনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি,ওগুলো কি অবস্থায় আছে। এরপর কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো। যদি এতেও কোন কাজ না হয়, তাহলে হাসপাতালে আর কোন বরাদ্দ দিবেন না সাফ জানালেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com