আন্তর্জাতিক ডেস্ক |
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে হত্যার কথা কিছুদিন আগে স্বীকার করেছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি ছিল, তাদের একজন সেনা শিরিনকে ‘জঙ্গি’ ভেবে গুলি করেছিলেন।
কিন্তু লন্ডনভিত্তিক বহুবিষয়ক গবেষণা গোষ্ঠী ও ফিলিস্তিনি এক অধিকার গোষ্ঠীর যৌথ তদন্ত বলছে, শিরিনকে ‘ইচ্ছাকৃত’ হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরেনসিক আর্কিটেকচার ও আল-হক নামে দুটি গোষ্ঠীর যৌথ তদন্তের ফলাফলে সাংবাদিক শিরিনকে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সৈন্যরা ইচ্ছা করেই হত্যা করেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
গত ১১ মে অধিকৃত পশ্চিমের জেনিন শরণার্থী শিবিরে সেনা অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হত্যার শিকার হন শিরিন আবু আকলেহ। ইসরায়েলি এক সেনা তার মাথায় গুলি করে হত্যা করে।
খবরে বলা হয়, তদন্তে ইসরায়েলি যে স্নাইপার গুলি করেছিলেন সেটির সুনির্দিষ্ট কোণ পরীক্ষা করা হয়। তিনি (স্নাইপার) স্পষ্টতই বুঝতে পেরেছিলেন অভিযান চালানো এলাকায় সাংবাদিক ছিলেন।
তদন্ত অনুসারে, শিরিনকে লক্ষ্য করার দুই মিনিটের মাথায় গুলি ছোঁড়া হয়। যারা তাকে উদ্ধারের জন্য যাচ্ছিলেন তাদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
স্নাইপার তিনবার গুলি করেছিলেন। প্রথমে ছয়টি; তার আট সেকেন্ড পরে আরও সাতটি। বুলেটগুলোর মধ্যে একটি শিরিনের মাথায় লাগে। অপরটি তার হেলমেটের নিচে। এর দুই মিনিট পর আবারও গুলি ছোঁড়েন ওই ইসরায়েলি স্নাইপার। শিরিনকে যারা উদ্ধার করতে যাচ্ছিলেন, তাদের প্রচেষ্টা বন্ধ করতে এ সময় তিনটি গুলি ছোড়া হয়।
শিরিনের পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেওয়ার দিনই এ অনুসন্ধানগুলি আসে। শিরিনের ভাই অ্যান্টন বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তাদের পরিবার যা যা করা দরকার তা করবে।
আল জাজিরাকে অ্যান্টন বলেন, আমরা আগে যেমনটি বলেছি শিরিন ও তার সহকর্মীদের লক্ষ্য করে ১৬টির বেশি গুলি চালানো হয়েছিল।
এসব অভিযোগ ফিলিস্তিনের প্রেস সিন্ডিকেট ও ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইএফজে) দ্বারা সমর্থিত।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com