চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নে মসজিদ তহবিলের প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ওসমানঞ্জ মডেল নিম্ম মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নুর হোসেন ওরফে হোসেন দেওয়ানের বিরুদ্ধে।
তিনি দীর্ঘ ২০ বছর নিজ গ্রামের আপীল উদ্দিন বেপারী বাড়ির দরজার জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মসজিদ তহবিলের বিশাল অংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তাকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
অর্থআত্মসাতের এঘটনায় গত ১০ অক্টোবর মসজিদের মুসল্লিরা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটির তদন্ত চলছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান রোববার জানিয়েছেন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আপীল উদ্দিন বেপারী বাড়ির দরজার জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার শিক্ষিতজন এবং পেশায় শিক্ষক হিসেবে ২০ বছর আগে মসজিদের মুসল্লিরা নুর হোসেনকে সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেন। তারপর থেকে পারিবারিক প্রভাব এবং পেশিশক্তি ব্যবহার করে নুর হোসেন ওই পদ আগলে রাখেন এবং পদ ব্যবহার করে মসজিদের অনুকূলে ধর্মপ্রাণ মানুষের দান অনুদান এবং মজিদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সমূহ ভোগ দখল করেন।
মুসল্লিদের অভিযোগ, নুর হোসেন এ পর্যন্ত মসজিদের ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন এবং বর্তমানে মসজিদের জমি থেকে ১০ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করে তাও হাতিয়ে নিয়েছেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি প্রায় ১৫ বছর যাবত আফিল উদ্দিন বেপারী বাড়ির দড়জায় অবস্থিত জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। স্কুল শিক্ষক নুর হোসেন নিজের পেশিশক্তি খাটিয়ে ওই মসজিদের সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করে আছেন।
তিনি আরও জানান, আমি কর্মস্থল ঢাকায় থাকার সুযোগে শিক্ষক নুর হোসেন সক্রিয় ভাবে মসজিদে মুসল্লিদের দানের এবং মসজিদের জমির মাটি বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি কমিটির নজরে আসলে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি মসজিদের আত্মসাতকৃত টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করছেন।
অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক নুর হোসেন জানান, মসজিদ কমিটি আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তুলেছে। নিষ্ঠার সাথে মসজিদ পরিচালনা করে আসছিলাম। এখন আমি ওই মসজিদ কমিটিতে নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, মসজিদ কমিটির লিখিত অভিযোগটি ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আমিনুল ইসলামকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com