নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রায়টকার দিয়ে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এদিকে, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করছেন, বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অনেকেরই পায়ে, হাতে ও বাহুতে গুলি লেগেছে।
আজ বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে পুলিশ নয়া পল্টনে বিভিন্ন গলিতে ঢুকে অভিযান চালিয়ে সামনে যাকেই পাচ্ছে তাকেই মারধরের পর ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা মেহবুব মাসুম শান্তসহ অসংখ্য নেতাকর্মী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।
এদিন সকালে থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার পক্ষে স্লোগান দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। ব্যবহার করা হয় রায়টকার ও জলকামান।
অন্যদিকে স্লোগান দিয়ে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের ছোড়া অসংখ্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশ এলাকা।
জানা যায়, কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর কার্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিএনটি নেতাদের দাবি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভেতরে অমানবিক অবস্থায় আছেন নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডের ধোঁয়া ভেতরে প্রবেশ করায় নেতাকর্মীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
এ ছাড়া কার্যালয়ের চারপাশের দোকনপাট সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com