আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় তার ফোন হ্যাক হওয়ার অভিযোগের তদন্ত করার জোর দাবি উঠেছে।
দ্য মেইল অন সানডে পত্রিকা এক প্রতিবেদনে বলেছে, ট্রাস এবং বিদেশি সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে গোপনীয় বার্তা প্রতিপক্ষের বিদেশিদের হাতে চলে গেছে।
মেইল পত্রিকা লিখেছে, বিগত গ্রীষ্মে টোরি দলের নেতৃত্বের লড়াই নিয়ে প্রচারণার সময় ফোন হ্যাকের ঘটনা ধরা পড়লেও খবরটি চেপে রাখা হয়েছিল।
ব্রিটিশ সরকার বলেছে. তারা সাইবার-হুমকির বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী’ সুরক্ষা মোতায়েন রেখেছে।
সরকারি
মুখপাত্র আরো বলেছেন, সরকার কোনো ব্যক্তি পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করে না।
রবিবারের মেইল পত্রিকা আরো দাবি করেছে, ওই হ্যাক সম্পর্কে বিশদ বিবরণ তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাইমন কেস মিলে ধামাচাপা দিয়েছেন।
সংবাদপত্রটি আরো বলেছে, লিজ ট্রাস এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কোয়াসি কোয়ার্টেংয়ের মধ্যকার গোপনীয় বার্তাগুলোও কথিত হ্যাকের ঘটনায় ফাঁস হয়েছিল।
আদৌ কোনো হ্যাক হয়ে থাকলে কীভাবে তা ঘটেছে সেটি স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলগুলো বিষয়টি লুফে নিয়েছে।
ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, একটি বৈরি রাষ্ট্রের দ্বারা এ ধরনের সাইবার আক্রমণের ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সমস্যা উঠে এসেছে। আমাদের গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
কেন এবং কীভাবে এই তথ্য ঠিক এখনই চুরি বা ফাঁস হলো তা নিয়েও গুরুতর নিরাপত্তাগত প্রশ্ন রয়েছে। এটি জরুরিভাবে তদন্ত করে দেখা উচিত।
সূত্র: বিবিসি
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com