বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর বাউফলে উপমা ইসলাম রুপা নামে এক নারীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে তারই বাবা মো. খালেক মিয়া ওরফে আরডিএস খালেক ও তার ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার মা হাওয়া বেগমকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
হামলায় রুপার হাতে গুরুতর জখম হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য উপমা ইসলাম রুপাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকার বিশ্বাস বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আরডিএস খালেক দুই বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। রুপা খালেকের প্রথম স্ত্রীর সন্তান। সম্প্রতি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর পর রুপা ও তার ভাই সোহাগ তাদের মাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে ক্ষিপ্ত হন বাবা খালেক। সেই থেকেই বাবার শত্রু হয়ে যান প্রথম স্ত্রীর মেয়ে রুপা ও ছেলে সোহাগ।
এর পর দলবল নিয়ে একাধিকবার রুপা ও সোহাগের ওপরে হামলা চালায় খালেক, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান সিয়াম ও তাদের বাহিনী। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার ফের রুপার ওপর হামলা চালান তার বাবা তার সহযোগীরা। এ সময় রুপার মা তাকে বাঁচাতে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়।
ভুক্তভোগী উপমা ইসলাম রুপা বলেন, আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার ওপরে হামলা হয়েছে। তিনি (খালেক) অন্ধকারে ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় আঘাতের চেষ্টা করেন। তখন আমি হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করি। এর আগে আমার ভাইকে ও আমাকে পিটিয়ে আহত করেছিলেন তিনি। সেই সময় আমি বাউফল থানায় অভিযোগ করেছিলাম, কোনো আইনি সহায়তা পাইনি। এ কারণে তারা উৎসাহিত হয়ে বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে।
দাশপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মামুন বলেন, রুপা আমাকে মুঠোফোনে জানায় তার বাবা তাকে মেরেছে এবং ভয়ে কেউ তাকে হাসপাতালে নিতে চাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি পুলিশ সেখানে পৌঁছেছে। আমি রুপা ও তার মাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে তার বাবা খালেক বলেন, আমি আমার প্রথম স্ত্রীকে অনেক আগেই তালাক দিয়েছি। তাই আমি তাকে এখন আমার বাড়িতে কীভাবে রাখব। কিন্তু আমার প্রথম পক্ষের ছেলেমেয়ে তাদের মাকে বাড়িতে এনেছে। আমি এর বিরোধিতা করায় তারা আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ চাপাচ্ছে। আমি কারও ওপর হামলা করিনি।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রউফ বলেন, তার হাতের কাটা স্থানে তিনটি সেলাই লেগেছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. আল মামুন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com