আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনেক ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে ইঙ্গিত করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান।
কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনের এখনো ১৩-১৪ মাসের কাছাকাছি বাকি। এ সময়ে রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। পরিবর্তন দেশে ও বিশ্বে আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, মাঠে না থাকলে তো খেলা হবে না। মাঠে না এসে তো কেউ বলতে পারবে না নির্বাচনের পরিবেশ নেই।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় বিএনপি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন আনিছুর রহমান। তিনি মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগের ১৪ মাসে বিশ্বে ও দেশে অনেক পরিবর্তন আসবে।
আনিছুর রহমান বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে। এই কমিশনের পাঁচজনই আশাবাদী সবাই নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে অনেক রকম ক্যালকুলেশন হয়। সেই ক্যালকুলেশন এখনো বাকি আছে। দল জোটবদ্ধ হবে। নির্বাচন যত কাছে আসবে ততই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
নির্বাচন খেলায় ইসি সব দলের রেফারি হওয়ার আশা প্রকাশ করে আনিছুর বলেন, আমাদের আশা থাকবে সব দলের রেফারি হিসেবে নির্বাচনে থাকব। সব পক্ষ নিয়েই ভোটের মাঠে থাকব।
তবে নির্বাচনে সব দলকে আনা ও সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা বড় চ্যালেঞ্জ বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দিকেই নজর দেব। কিভাবে ওটা করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেব বেশি। এটা যদি সবাই না পায় তাহলে তো ভোটের পরিবেশ থাকবে না। শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের এই প্রচেষ্টা থাকবে। তবে সব দলকে নির্বাচনে আনাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সফল হব কিনা জানি না।
ইসির প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্প অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্প থমকে যায়নি। পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। জানুয়ারির মাঝামাঝিও যদি প্রকল্প অনুমোদন হয়, তাহলে প্রকিউরমেন্টে কোনো সমস্যা হবে না। এ প্রকল্পের বাজেট কাটছাঁট হবে- সে রকম কোনো ইঙ্গিত আমরা পাইনি। এটা একান্তই সরকারের সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে। যদি বাজেট কাটছাঁট করা হয় সেই অনুযায়ী ইভিএম সংগ্রহ করব।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) সংশোধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিশনার আনিছুর বলেন, ব্যস্ততার জন্য বা বিভিন্ন কারণে হয়তো আইন সংশোধনটা একটু দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটা সমাধান পাব। তা না হলে দেখব যে কী করা যায়। আইনে আমরা যে সংশোধনী চেয়েছি সেগুলো হলে আমাদের কাজটা আরেকটু সহজ হতো। সংশোধনী না হলেও যে কাজ করতে পারব না, তা নয়। গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোট এই আইন থেকেই হয়েছে। সেটা প্রশংসিত হয়েছে। আইন কার্যকর করাই হলো বড় কথা।
আরপিও সংশোধনে তাগাদা দেওয়ার পরও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের ভরসাস্থল তো আছেই। আমরা যেতে পারি সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত। তার কাছে বলতে পারব এই জায়গায় ঠেকে আছি। এখনো সেটা আমরা চিন্তা করিনি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটের তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আনিছুর রহমান বলেন, বন্ধ করা ৫১ কেন্দ্রের বিষয়ে কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের বিষয়ে সুপারিশ করতে কমিটিকে বলেছি। আমি যতদূর জেনেছি বাকি কেন্দ্রগুলোতে অনিয়ম পেয়েছে। রিপোর্ট পেলে বসে সিদ্ধান্ত নেব।
জাতীয় নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা কতটুকু চ্যালেঞ্জ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে তফশিল ঘোষণার পরে পুরোটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেক্ষেত্রে মাঠ প্রশাসনে আমরা অতীতেও দেখেছি ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আমার মনে হয় সেগুলো সময়ই বলে দেবে কখন কী করব।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com