ঝালমুড়ি বিক্রেতা জাকারিয়া (৩০) থাকেন রাজধানীর হাজারীবাগে। ফি বছর ঈদুল আজহার দিনটিতে তাঁর পেশা পাল্টান। এবারও তা–ই হলো। গতকাল রোববার ঈদের দিন তিনি বনে গেলেন মৌসুমি কসাই। বিশেষ এই দিনে কিছু বাড়তি রোজগারের আশাতেই কসাই সাজা। কাজ শেষে রোজগারও কম হয়নি। মোহাম্মদপুর এলাকায় কসাইয়ের কাজ শেষে গরুর মাংস পান আট কেজি। সেই মাংস বিক্রির জন্য আসেন মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে। রাত ৮টায় সুমন হাওলাদার (৩৮) নামের এক ব্যক্তির কাছে চার হাজার টাকায় মাংস বিক্রি করেন জাকারিয়া। পরে টের পান, যে টাকা সুমন হাওলাদার দিয়েছেন, তা ছিল জাল।
কষ্টের এ টাকা ফিরে পেতে জাকারিয়া কিন্তু হাল ছাড়েননি। তিনি সুমনকে খুঁজে বের করেন। মাংস ফেরত চাইলে সুমনের সঙ্গে জাকারিয়ার গন্ডগোল হয়। একপর্যায়ে পথচারীরা সুমনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন।
এ ঘটনায় সুমন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা জাকারিয়া।
আজ সোমবার আসামি সুমন হাওলাদারকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশ। আদালত সুমনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী জাকারিয়া বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। টাকা রোজগারের আশায় সারা দিন কোরবানির গরুর মাংস প্রস্তুতের কাজ করি। কাজ শেষে আট কেজি গরুর গোশত পাই। সেই গোশত আমি সুমনের কাছে বিক্রি করি। সুমন আমাকে এক হাজার টাকার চারটি নোট দেন। পরে আমার সন্দেহ হলে মোহাম্মদপুরের একজন দোকানদারকে টাকা দেখতে দিই। তখন জানতে পারি, সুমনের দেওয়া টাকা জাল। ততক্ষণে সুমন অন্য জায়গায় চলে যান। পরে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে সুমনকে দেখতে পেয়ে আটক করি।’
সুমনের পেশা এবং পূর্ণ পরিচয় এখনো অজানা পুলিশের কাছে। তাঁর সঙ্গে জাল টাকার বড় কারবারিদের যোগাযোগ আছে কি না, সে বিষয়েও খোঁজ করছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, জাল টাকার কারবারি সুমন হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কীভাবে সুমন জাল টাকা সংগ্রহ করলেন, তাঁর সহযোগী কারা, সেটি খুঁজে বের করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com