মামুনুর রশীদ নোমানী :
কোথায় যাচ্ছি আমরা। হারিয়েছি সব নৈতিকতা। প্রতিবাদ নেই। প্রতিবাদের ভাষা ইটপাটকেল। প্রতিবাদের প্রতিরোধের ভাষা বন্দুকের গুলি । লেখার স্বাধীনতা কত টুকু ভোগ করছি। লিখলে কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারায় মামলা ও গ্রেপ্তার। বাজার নিয়ন্ত্রনে নেই। বাজার মনিটরিং দুর্বল। অসাধুরা কামিয়ে নিচ্ছে দুহাত ভরে। নিষ্পেষিত হচ্ছে নিরীহ দিন মজুর থেকে মধ্যবিত্ত মানুষগুলো। মুক্তির উপায় নেই। উচ্চ বিত্তদের বেগমপাড়ায় বাড়িঘর। পাসপোর্টে ভিসা লাগানো রয়েছে। কানাডা আমেরিকা লন্ডন অস্ট্রেলিয়া যেন তাদের মামা বাড়ি। যখন তখন যাচ্ছে আবার আসছে। কেউ কেউ দ্বৈত নাগরিক। এদেশও তাদের ভিন দেশও তাদের। ভোলায় ছাত্রদল ও বিএনপির একজনসহ দুজন পুলিশের গুলিতে নিহত হলো। বিষয়টি নিয়ে কোন উচ্চ বাচ্য হয়নি কারন তারা বিরোধী দলের লোকজন। যখনই বরগুনায় পুলিশের হাতে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত সদস্যরা লাঠি পিটুনির শিকার হলো তখন দেশ জুড়ে হইচই। মুহুর্তে ভাইরাল হলো। কত মায়া কান্না দেখলাম। পুলিশ কেন লাঠিপেটা করেছে সে বিষয়টি কেউ তুলে ধরেনি। বরগুনায় ছাত্রলীগের কমিটি দেয়ার পর
পদ বঞ্চিতরা এক মাস যাবৎ বরগুনা জুড়ে তান্ডব চালিয়েছে। দোকান পাট, গাড়ি ভাংচুর করেছে। ঘটনার দিন পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করেছে। পুলিশও তো মানুষ ধর্য্যের সিমা ছাড়িয়ে গেছে তাই লাঠিপেটা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা। পদবঞ্চিতরা এমপির পক্ষের লোকজন তাই তারা ছিল বেপরোয়া। বিষয়টি বরিশালের সুযোগ্য ডিআইজি মহোদয় ভালোভাবে হ্যান্ডেল করেছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত।
হঠাৎ করে গন শুনানী ছাড়াই ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোলের দাম বাড়ানো হলো ।এক রাতে পাম্প মালিকরা ক্রোড়পতি হয়ে গেল। বেড়ে গেল সব জিনিষের। যে যে রকম পারছে বাড়িয়ে নিয়েছে। বাস ভাড়া থেকে ঠেলাগাড়ি পর্যন্ত। যেসব যান গ্যাস ও বিদ্যুতের চার্জে চলে তারাও বাড়িয়ে দিয়েছে ভাড়া। মাঝখানে ডিমের হালি ৭০ টাকা। কাকে বলবে জনগন। বিচারের বানী নিরবে কাঁদে। বিচার দেয়ার জায়গা নেই। নালিশ করার জায়গা নেই। প্রশাসন ইচ্ছেমত খেয়ালখুশি মত অভিযান পরিচালনা করছেন নাম কা ওয়াস্তে। সম্প্রতি আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন আমরা বেহেশতে আছি। বেহেশবাসির নরমাল খাবার ছিল ডিম ভাত। আজ স্বর্নের থেকেও ডিমের দাম বেশী। বাজার মনিটরিং জোড়দারের বিকল্প নাই।
বাজারের দিকে সরকারের মনযোগ দিতে হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। বাজারের প্রতিটি পণ্যের মুল্য আকাশ ছোয়া।
মানুষ নিরবে হজম করছে। প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলছে। ঘরে ঘরে বোবা কান্না।
ভারতকে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে পছন্দ করি। কারন তার পেটে কথা পচেঁনা। সত্য কথা বলে ফেলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো দেশটাকে সিকিম বানাবেন না। কথা বলুন হিসেবে নিকেষ করে। রক্তের বিনিময়ে দেশটি স্বাধীন হয়েছে। জনগনকে বলুন টিকিয়ে রাখার জন্য। ভারত বন্দনা বেশি না করে দেশের জনগনের বন্দনা করুন। জনগনকে দু পয়সার মূল্য দিন। অসাধু ব্যবসায়ীদের আটক করুন। বাজার মনিটরিং করুন নিয়মিত। মানুষ বাচঁতে চায়। মানুষ দু বেলা খেতে চায়।
লেখক : মামুনুর রশীদ নোমানী,
ব্যুরো প্রধান,দৈনিক দেশবাংলা,বরিশাল ব্যুরো।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com