সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলার মেঘনার অতি জোয়ারে তৃতীয় দিনের মত তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ। পানিতে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ।
উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে পানি বেড়ে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শনিবার (১৮ জুন) মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে যা ছিলো ৩১ সেন্টিমিটার। এদিকে মেঘনার অতি জোয়ারে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা ভোলা সদরের দরিরাম শংকর, গঙ্গাকীর্তি, বলরাম সুরা, রাজাপুর, মাঝের চর, রামদাসপুর, দৌলতখানের মদনপুর, মেদুয়া, তজুমদ্দিনের চরর জহির উদ্দিন, চর মোজাম্মেল, মনপুরার চর নিজাম, কলাতলীর চর, সোনার চর, চর নিজাম, চর যতিন, চর জ্ঞান, দাসেরহাট, চরফ্যাশনের চর পাতিলা, ঢালচর, লালমোহনের কচুয়াখালির চর ডুবে গেছে। মনপুরা উপজেলার দায়িত্বে থাকা চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে পানির চাপ কিছুটা বেশি। তবে এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। আমরা বিষয়টির খোঁজ-খবর রাখছি। মদনপুর ইউনিয়নের মেম্বার হেলাল উদ্দিন ও রেহানা বেগম বলেন, জোয়ারের পানিতে মদনপুরের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে উপকূলের মানুষ। ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি এলাকার ফাতেমা ও ইয়াসমিন বলেন, জোয়ারের পানির জন্য আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা ঠিকমত রান্না-বান্না করতে পারছি না। রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। মো. শরীফ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পানির চাপ অনেক বেশি। আমাদের ঘর ডুবে গেছে। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিভিশন-১) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, পানিতে বাঁধের বাইরের নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে কোথায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। এ অবস্থা আরও কিছুদিন থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com