স্টাফ রিপোর্টার : ৬ সঙ্গীসহ যশোরের সীমান্ত চেকপোস্ট বেনাপোল থেকে মাদকের বৃহৎ একটি চালান বরিশালে নিয়ে আসার পথে এক সহযোগী বিজিবির হাতে আটক হলেও চক্রের মূল হোতা বুলেট খান কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। তার সাথে ছিলো আরো ৫ ব্যক্তি। এ নিয়ে বিজিবি বরিশাল র্যাবকে অবহিত করলেও পালিয়ে আসাদের অবস্থান এখন নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে এই চক্রের মূলহোতাই হচ্ছে বুলেট খান।
গত শনিবার এই চক্রের ৬ সদস্য বেনাপোলে তিনটি মোটরসাইকেল যোগে পৌছে একদিন সেখানে অবস্থান শেষে যে যার কাদে থাকা ব্যাগে ফেন্সিডিল নিয়ে বরিশাল ফিরছিলো। বেনাপোল ছেড়ে আসার পর অনতি দুরে কাগজ পুকুর নামক এলাকায় বিজিপির টহল টিমের সামনে পরে ৬ যুবক। সকলে ডাক্তার, শিক্ষক ও আইনজীবী পরিচয় দেয়ার পর বুলেট ও লিখনসহ অপর তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের সঙ্গীয় সুমনের পিঠে থাকা স্কুল ব্যাগ সন্দহের বসত তল্লাশী করার পর বিজিপি বিস্মিত হয়। ততক্ষণে বুলেটসহ অপরাপর সঙ্গীরা বিজিপির নাগাল থেকে বেড়িয়ে এসে গ্রামীণ পথ ধরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন নিজেকে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু নিশ্চিত হওয়া গেছে আসলে তিসি ওই স্কুলের চারু ও কারুর শিক্ষক। সুমনই পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিজিবির কাছে সবিস্তার নাম পরিচয় প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে লিখন ও বুলেট বাদে অপর ৩ হচ্ছেন, সদর হাসপাতালের ডাক্তার মিঠু, উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা ডোনা ও ব্যবসায়ী মনির। এদের প্রত্যেকের বসত বরিশাল শহরে।
সূত্রমতে, গত বছর শবে বরাতের রাতে শহরের চৌমাথা এলাকায় ফেন্সিডিলসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল বুলেট। একাধিক সূত্র জানায়, তার অগ্রজ ভাই যুবলীগ নেতার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ডিবি পুলিশকে বাগে নিয়ে এসে বুলেটকে ছাড়িয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ঘটনাচক্রে বুলেটের সাথে যুক্ত হয় বরিশাল আদালতের বিতর্কিত আইনজীবী লিখন। ফেন্সিডিল সেবনের দায়ে লিখনকে গত বছর বরিশাল আইনজীবী সমিতি তার সদস্যপদ বাতিল করে দেয়।
বিজিবির একজন কর্মকর্তা প্রতিবেদকে জানান, এই চক্রটির সম্পর্কে বরিশাল র্যাব-৮ কে অবহিত করে তাদের আটকে অনুরোধ জানিয়েছে। বরিশাল র্যাবের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য স্বীকার করে বলেন চক্রটি সন্ধানে তারা ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন। তারা নিশ্চিত হয়েছে এখনো তারা বরিশালে ফিরেনি। কিন্তু তাদের পরিচয়-পরিচিত শোনে বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার মত নয় যে, আদৌতে তারা প্রথম শ্রেণির পেশাদার ব্যক্তির অন্তরালে মাদকের সাথে জড়িত।
বুলেট এখন কোথায় তার কোন হদিস দিতে পারেনি কোন মহল। তার সেলফোনও বন্ধ।