বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট করতে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করবেন নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ লাখ টাকায় ভোট করবেন বলে জানিয়েছেন লাঙ্গলের তাপস। আর ৬ লাখ টাকায় ভোট করার কথা জানিয়ে হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেছেন, এর মধ্যে ৪ লাখই দেনার টাকা।
নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় নিজস্ব আয় থেকে নির্বাচনি ব্যয় ১৫ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন নৌকার আবুল খায়ের। যার মধ্যে নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস, প্রার্থীর কেন্দ্রীয় ক্যাম্প বা অফিস, প্রতিন্দ্বদ্বী প্রার্থীর অফিস আপ্যায়ন, ঘরোয়া বৈঠক বা সভা, ভোটার স্লিপ, সিডি, যাতায়াত, মাইকিং, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ডিজিটাল ব্যানার এবং পোস্টার বাবদ খরচের হিসাব দেওয়া হয়েছে। তিনি নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করবেন মোট ১১টি। নির্বাচনি এজেন্ট ও কর্মীদের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপসও হলফনামায় কারও সহযোগিতা ছাড়া ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্বাচনে ব্যয় করার কথা জানিয়েছেন। নির্বাচনি ক্যাম্প একটি স্থাপন করবেন তাপস এবং নির্বাচনি এজেন্ট ও কর্মীদের খরচ ধরা হয়েছে ৪৮ হাজার টাকা।
আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম নির্বাচনে ব্যয় করবেন ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে হাদিয়া থেকে নিজের আয় ২ লাখ টাকা, বড় ভাই ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের কাছ থেকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান হিসাবে ৩ লাখ টাকা এবং আ. মালেক কাফরা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ টাকা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান হিসাবে পাওয়া অর্থের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করবেন তিনটি। আর এজেন্ট খরচ ধরা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
একইভাবে জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু ৬ লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন। যেখানে তার নগদ তহবিল থেকে ৪ লাখ টাকা ও স্ত্রী নাসরিন পারভীনের কাছ থেকে ধার বাবদ প্রাপ্য ২ লাখ টাকা ব্যয় করবেন। কেন্দ্রীয়সহ মোট তিনটি নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এজেন্ট ও কর্মী বাবদ খরচ উল্লেখ করেছেন ৪০ হাজার টাকা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার নিজের ব্যবসা থেকে ৫ লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন। এর বাইরে তিনি কারও কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা নেবেন না। ক্যাম্প স্থাপন করবেন তিনটি। এজেন্ট ও কর্মী বাবদ খরচ উল্লেখ করেছেন ৫০ হাজার টাকা।
একইভাবে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রূপণও নিজ ব্যবসা থেকে ৫ লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন। ৩০টি নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করবেন তিনি এবং এজেন্ট ও কর্মী বাবদ খরচ দেখিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা।
বিসিসি নির্বাচনে ছয় বৈধ মেয়র প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছেন। বরাদ্দ পেলেই নামবেন আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণায়। যদিও দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তারা কৌশলী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতেও তাদের ব্যয় হচ্ছে ব্যাপক অর্থ।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালাবেন। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইভিএম নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানো হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com