বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য ঘোষিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের যে কোন একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে চান হিরো আলম। কিন্তু প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে আপিলের রায় দেওয়া হবে ১৫ জানুয়ারি রোববার বিকেল ৪ টায়। আবার একই দিনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। এতে বিপাকে পড়েছেন আলোচিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর ৮ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে ত্রুটির কারণে হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। হিরো আলমের দুটি আসনেরই মনোনয়ন বাতিল করা হয়। প্রার্থীতা নিশ্চিত করতে হিরো আলম ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দুটি আসনেই মনোনয়ন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনে ১১ জানুয়ারি আপিল করেন। ১২ জানুয়ারি আপিলের শুনানি শেষে আপিলের রায় দেয়ার দিনক্ষণ ধার্য করা হয় ১৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টায়। এদিকে নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুযারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত। হিরো আলম শেষ পর্যন্ত যে কোন একটি আসন থেকে নির্বাচন করার চিন্তা করছেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় এবং আপিলের রায়ের দিন একই দিনে হওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া ১৬ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে অন্য প্রার্থীরা মাঠে থাকবেন কিন্তু হিরো আলম তা পারছেন না তার প্রার্থীতা নিশ্চিত না হওয়ায়।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, 'আমার সঙ্গে শুধু ষড়যন্ত্র আর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, আমি যদি একটি আসনে নির্বাচন করি সেক্ষেত্রে আমি কীভাবে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবো অন্য আসনের। কারণ আপিলের রায়ও একই দিনে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপিলের রায় আমার পক্ষে না গেলে উচ্চ আদালতের দারস্ত হবো। এভাবে শুধু সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু ভোটের জন্য গণসংযোগ করতে পারছিনা। এলাকা ছেড়ে ঢাকায় বসে থাকতে হচ্ছে প্রার্থীতা ফেরত পেতে।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে যে ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের মধ্যে হিরো আলমসহ ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করার পর তারা প্রার্থীতা ফেরত পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে গেছেন। এ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রসের প্রার্থী তাজউদ্দিনেরও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেলায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আসনের মোট ভোটারের মধ্যে সমর্থনসূচক এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর করা তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। নির্বাচন অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ওই তালিকায় গড়মিল পাওয়ায় ওই আসনের সকল স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
বগুড়া-৬ সদর আসনেও একই কারণে বাতিল করা হয় হিরো আলমসহ ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থীর। এরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, সাবেক বিএনপি নেতা সরকার বাদল, মোটর শ্রমিক নেতা সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু ও রাকিব হাসান। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মুনসুর রহমানের মনোনয়নপত্রে নিজের স্বাক্ষর ও প্রস্তাবক এবং সমর্থকের স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com