নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের খ্যাতনামা আইনজীবী, রীট ও সাংবিধানিক মামলার বিশেষজ্ঞ, ব্যারিষ্টার এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান খান বাকেরগঞ্জের কালিদাসিয়া গ্রামের বাড়ীতে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেছেন। শনিবার দুপুরে তিনি কবর জিয়ারত শেষে দোয়া মোনাজাতে অংশ গ্রহন করেন তিনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবীব, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. লস্কর নুরুল হক, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. এসএম ইকবালুর রহমান সেলিম, বরিশাল জেলা পরিষদ সদস্য মুনাওয়ারুল ইসলাম অলি, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, দৈনিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী মিরাজ মাহমুদ, দৈনিক আজকের পরিবর্তনের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি এমএম আমজাদ হোসাইন, বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন অর রশিদ,বরিশাল আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, চরামদ্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন খোকন, ইউপি সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, আরিফুর রহমান, চরামদ্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মামুন আল রশিদ সোহাগসহ এলাকার অর্ধশতাধিক মুসল্লি। কবর জিয়ারতের পর সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বরিশাল জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মীর্জা নুরুর রহমান বেগ । বাকেরগঞ্জের গ্রামে শনিবার দুপুরে এই জিয়ারত ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ব্যারিষ্টার ছিদ্দিকুর রহমান বড় বড় রীট মামলা পরিচালনা, সাংবিধানিক জটিলতা সংক্রান্ত মামলা পরিচালনা, আইন বিষয়ক জার্নালে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আর্টিকেল উপস্থাপন, বহুসংখ্যাক ইসলামী প্রবন্ধ রচনাসহ নানান মাধ্যমে দেশ, মানবতা ও ইসলামের সেবায় যথেষ্ট অবদান রেখে চলছেন। পেশাগত জীবনে সততার সাথে কাজ করে তিনি এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের কালিদাসিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোঃ ওয়াজেদ আলী খান এবং মাতার নাম তজুমুন্নেসা। ২০০৫ সালে পঞ্চম সংশোধনী মামলায় বাদী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী ছিলেন তিনি। সেই মামলায় বাংলাদেশের সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়াও তিনি আইন ও ধর্ম বিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছেন। তার বহু প্রবন্ধ আইন বিষয়ক রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং বহুবার ডেপুটি এটর্নী জেনারেল হিসেবে যোগদান করার প্রস্তাব পেয়েও ব্যক্তিগত কারণে এসব পদ গ্রহন করেননি। ব্যারিষ্টার এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান খান চরামদ্দি দাখিল মাদরাসা থেকে ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে দাখিল, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদরাসা থেকে ১৯৮৬ সালে প্রথম বিভাগে আলিম, ১৯৮৮ সালে প্রথম বিভাগে ফাজিল এবং ১৯৯০ সালে প্রথম শ্রেণিতে কামিল হাদীস পাস করেন।
মাদরাসা শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৯৪ সালে এলএলবি অনার্স এবং ১৯৯৫ সালে এলএলএম পাস করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ব্যারিষ্টারী পড়ার জন্য লন্ডন যান। সেখানে পুনরায় এলএলবি সম্পন্ন করে ২০০২ সালে ব্যারিষ্টারী ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৫ সালে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করে প্রথিতযশা আইনজীবী আজমালুল হোসাইন কিউসি এর জুনিয়র হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com