এনামুল কবির পলাশ, বানারীপাড়া প্রতিনিধি:-
বরিশালের বানারীপাড়ায় অবৈধ চায়না দুয়ারী জালে ধংস করছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা কে দুই ভাগ করেছে সন্ধ্যা নদী। তার ভিতরে রয়েছে অসংখ্য খাল বিল ডোবা। যেখানে দেখা মেলে দেশীয় প্রজাতির মাছ। যার মধ্যে অন্যতম শিং, কৈ, মাগুর, পাবদা, গুলসা, টেংরাসহ নানান সুস্বাদু মাছ। এক সময় এ সব মাছে ভরপুর থাকায় গ্রামের মানুষের চাহিদার পাশাপাশি শহরের মানুষেরও চাহিদা মেটাত। কিন্তু এ সব মাছ এখন বিলুপ্ত প্রায়। কিন্তু কারন কি?
অনুসন্ধানে দেখা গেছে অবৈধ পদ্ধতি মাছ ধরা ও অবৈধ জালের জন্যই এ মাছ বিলুপ্ত। তারমধ্যে অন্যতম কারন গুলো হচ্ছে খালে বিষ প্রয়োগ, প্রজনন মৌসুমে ডিম ওয়ালা মা মাছ নিধন, ঝাক সহ পোনা নিধন।
বর্তমানে দেশীয় মাছের নতুন আতঙ্ক চায়না দুয়ারী জাল। কিছু অসাধু জেলেরা এ অবৈধ জাল ব্যাবহার করে মাছ নিধন করায় সব ধরনের মাছের পোনা ধরা পড়ছে নষ্ট হচ্ছে মাছের ডিম, রেনু।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা বিভিন্ন ভাবে সচেতন করছি এবং অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ জাল উচ্ছেদ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ছোট ছোট খালে জমিতে ও লোকলক্ষুর অন্তরালে এ সব জাল পাতায় সেসব যায়গায় অভিযান পরিচালনা করা কষ্ট সাধ্য।
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ সহায়ক কর্মী এনামুল কবির জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় আমরা গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে জেলেদের সচেতন করছি। অবৈধ জাল ব্যাবহারে নিরুৎসাহিত করছি।
চায়না দুয়ারী জালে পাশাপাশি ক্ষতিকর মশারী, বেড় জাল, চড়গড়া, ভেসাল জাল ও দেশীয় মাছের হুমকি। তাই সকলের সচেতনতায় এ সব জাল নির্মূলে মৎস্য দপ্তরকে সকলে সহোযোগিতা করলে এ সব অবৈধ জাল নির্মূল হবে। দেশীয় মাছের বংশ বৃদ্ধি বাড়বে। মাছে ভরে যাবে খাল বিল সহ জলাশয় গুলো।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com