স্টাফ রিপোর্টার ।।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা-সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর চরমিয়াজান এলাকায় আজ সোমবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ভেঙে ডুবে যায়। ওই সময় নৌকায় থাকা মো. স্বপন ব্যাপারী (৪০) ও তাঁর শিশু ছেলে মো. আবদুল্লাহ (১৩) লঞ্চের নিচে চলে যায় এবং লঞ্চের পাখায় লেগে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় জেলেরা বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আবদুল্লাহকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন,আবদুল্লাহর ডান হাতে ও দুইপায়ে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। এর মধ্যে ডান পায়ের হাটুর ওপরের হাড় ভেঙে একাধিক টুকরা হয়েছে। খুবই গুরুতর। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাবার মাথায় আঘাত রয়েছে। নিমদী লঞ্চঘাটের ইজারাদার, আহত জেলে স্বপন ও নদীতে থাকা অন্য জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাতে তেঁতুলিয়া নদীর চরমিয়াজান এলাকায় জাল ফেলে নৌকায় ছিলেন স্বপন ও তাঁর শিশু ছেলে আবদুল্লাহ। ঢাকা থেকে পায়রাবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা জামাল-৮ লঞ্চটি এসে রাত পৌনে তিনটার দিকে ওই নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে নৌকাটি ভেঙে তলিয়ে যায়। ওই সময় স্বপন ও আবদুল্লাহ লঞ্চের নিচে চলে যায়। লঞ্চের চলমান পাখার সঙ্গে লেগে আবদুল্লাহর শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। আহত স্বপন কাঁদতে কাঁদতে বলেন,‘তলিয়ে যাওয়ার পর উইটকা (উঠে) আমার বাবারে (আবদুল্লাহ) খুঁজছিলাম। একপর্যায়ে আবদুল্লার কান্না শুনতে পাই, ও (আবদুল্লাহ) বলছিলো বাবাগো আমারে বাঁচাও। আমি সাতরাইয়া যাইয়া আমার বাবারে হাতের ওপর ভাসাইয়া রাখি, আর বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাক (চিৎকার) দেই। অন্য জাইল্লারা (জেলে) আইয়া আমাগো বাপ-ছেলেরে উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে জানার জন্য লঞ্চের সুপারভাইজার মো. আবদুল কাদেরের মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল করলে তিনি ধরেননি। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com