এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে চার হাজার ৪৮৩ শিক্ষার্থী। এ বোর্ডে এবার গত বছরের চেয়ে পাসের হার ও জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই বেড়েছে।
অন্যদিকে, যশোর বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এবার যশোর বোর্ডে পাসের হার ৩ শতাংশ কমলেও বেড়েছে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
যশোর থেকে প্রতিনিধি জানিয়েছেন, যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্যমতে, এ বছর যশোর বোর্ডের আওতাধীন খুলনা বিভাগের ১০ জেলার দুই হাজার ৫২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ ও পাঠ্যবইয়ে শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত করতে পারায় এবার ফল ভালো হয়েছে। আর এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ার কারণে পাসের হার কিছুটা কমেছে।
যশোর বোর্ড থেকে জানানো হয়, এ বছর ২৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। একজনও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুটি। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো সাতক্ষীরার কলারোয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় ও দেবহাটা বাবুরাবাদ ধাপুখালি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
বরিশালে ছেলেদের চেয়ে পাসের হার ও জিপিএ ৫ উভয় ক্ষেত্রে এবার এগিয়ে মেয়েরা। মেয়েদের শতকরা পাসের হার ৮২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, আর ছেলেদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ ছাড়া জিপিএ ৫ পাওয়া মেয়েদের সংখ্যা দুই হাজার ৩৭৪ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা দুই হাজার ১০৯। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন এ খবর জানিয়েছেন।
বরিশাল বোর্ডে এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট এক লাখ ১২ হাজার ৪৩৬ জন। আর পাস করেছে ৮৯ হাজার ৬১৬ জন।
গত বছর ২০১৯ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ পেয়েছিল চার হাজার ১৮৯ জন।