২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষায়’ অভিযান চলাকালে বরিশাল বিভাগের এসব জেলেদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশ শিকারের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০ মিটার জাল জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় ৯ হাজার ১৮৪ কিলোগ্রাম ইলিশ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ৮৭৯টি মামলায় ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আর নিলামের মাছ থেকে আয় হয়েছে ১৭ লাখ ৭ হাজার ৬০০ টাকা।
নিষেধাজ্ঞা না মেনে বরিশালের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ৭২৪ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ‘মা ইলিশ রক্ষায়’ চালানো ২২ দিনের অভিযান চলাকালে বরিশাল বিভাগের এসব জেলেদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন।
সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশ শিকারের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০ মিটার জাল জব্দ করা হয়। এর বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর।
অভিযানের সময় ৯ হাজার ১৮৪ কিলোগ্রাম ইলিশ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ৮৭৯টি মামলায় ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আর নিলামের মাছ থেকে আয় হয়েছে ১৭ লাখ ৭ হাজার ৬০০ টাকা। সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ মৌসুমে কেউ মাছ আহরণে নদীতে নামলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়। কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দেয়া হয় না।
যদিও অভিযানের মাঝেই সুযোগ বুঝে কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, সন্ধ্যা, আড়িয়াল খাঁ, কালাবদরসহ বরিশালের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ শিকার করেন অসাধু জেলেরা।’ তিনি আরও জানান, অভিযান চালাতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন মৎস অধিদপ্তর ও পুলিশের সদস্যরা।
এ ছাড়াও জনবল ও যানবাহন সংকটসহ নানান সমস্যায় অভিযান চালাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার কথা বলেছে উপজেলা প্রশাসন, মৎস অধিদপ্তর ও নৌ পুলিশ। আর সংকটের মধ্যেই শনিবার সকালে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ইলিশ রক্ষায় বিভাগে এই পর্যন্ত মোট ৮৬১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। অভিযান পরিচালিত হয় দুই হাজার ৯৯৪টি।
অভিযানের সময় ৯ হাজার ১৮৪ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ৮৭৯টি মামলায় ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ৭২৪ জেলের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর নিলামের মাছ থেকে আয় হয়েছে ১৭ লাখ ৭ হাজার ৬ শত টাকা।
মৎস অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, বরিশাল বিভাগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অভিযান পরিচালনা কালে ৫৮৮টি অবতরণ কেন্দ্র, চার হাজার ৮৩৩ বার মাছঘাট, ৯ হাজার ২৯৬ বার আড়ত ও ৫ হাজার ৭৮২ বার বাজার পরিদর্শন করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ ছিল। শুক্রবার রাত ১২টায় শেষ হয় নিষেধাজ্ঞা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com