স্টাফ রিপোর্টার : ঈদ স্বাভাবিকভাবেই সবার জন্যে একটি আনন্দের দিন। বিশেষ করে শিশুরা নতুন কাপড় পড়ে ঈদের আনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু তখন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মনে থাকে বিষাদের ছায়া। তারা এদিনও পুরনো জীর্ণশীর্ণ কাপড় পড়ে ঈদের দিনটি কাটায়।
১০ মে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন কাপড় এবং ৭ মে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে সংগঠনটি।
বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সংগঠনটির সদস্যরা শিশুদের সঙ্গে এসময় আনন্দময় সময় অতিবাহিত করেন।এদিকে সংগঠনটি পলাশপুর এতিমখানার ৬৩ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে চাল, ডাল, গোস্তসহ ণিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেন।
ঈদের কাপড় পেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উৎফুল্লতার ছোঁয়া।
এ আয়োজন সম্পর্কে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক মামুনুর রশীদ নোমানী বলেন, আমরা প্রতিবছরই দরিদ্র এবং অধিকারবঞ্চিত শিশুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।
খাবার এবং ঈদের কাপড় হাতে পাওয়ার পর ওদের হাসিমাখা মুখগুলো দেখে আমাদের পরিশ্রম সার্থক বলে মনে হয়েছে। আমাদের চাওয়া হল, সারা বছর না হোক, অন্তত ঈদের একটা দিনে নতুন কাপড় পরার আনন্দটুকু যেন আমরা ওদের দিতে পারি। আমরা চাই সমাজের কোনো শিশুই যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।
সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি নিজের সাধ্যানুযায়ী এভাবে গরিব-অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, তাহলে অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন। তারা সমাজের বিত্তবানসহ অন্যান্য লোকদের সাধ্যানুযায়ী এসব গরিব-অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বাচ্চাদের হাতে, শরীরে নতুন জামা। একটি জামা কিনে দেওয়া খুব সহজ কিন্তু একটি মুখের হাসির কারণ হওয়া খুব কঠিন। সেই কঠিনকেই আমরা সহজ করছি, সেই হাসি ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের ঈদের আনন্দেও। আমরা সবাই নিজেদের সাধ্যমতো জামা কিনছি এবং নিয়ে যাচ্ছি সেসব শিশুর কাছে, যারা ঈদে নতুন জামা চিন্তাও করতে পারে না। স্বপ্নেও দেখে না। দেখে শুধু অন্য বাড়ির বাচ্চাটি ঈদের দিন নতুন চকচকে একটি জামা পরেছে। আর সে ভেতরে-ভেতরে কাঁদে, বাইরেও কাঁদছে। সেই কান্না কেউ দেখে না। তবে আমরা এখন দেখছি, যতটুকু সম্ভব দেখার চেষ্টা করছি। আশা করি, এই উদ্যোগটি ধারাবাহিক থাকলে একসময় আমরা আরও বেশি শিশুকে নতুন জামায় রাঙিয়ে দেব ঈদের সময়।
শান্তির ছায়া বিস্তৃত হোক এবং বৈষম্যের বিলোপ ঘটুক উৎসবের মাধ্যমে। সকলে ধনী-গরিবের বিভেদ ভুলে ঈদ আনন্দে মেতে উঠুন একসঙ্গে। সবার ঈদ হোক আনন্দময়।
নতুন জামা শরীরে জড়িয়ে আনন্দে আত্মহারা রবিউল। কেমন লাগছে জানতে চাইলেই বলে, ‘এইবার ঈদে নতুন জামা পরমু ভাববারও পারি নাই। আব্বার কাছে জামা চাইছিলাম, না করছে।
করোনায় লকডাউন কি জিনিস সেটা এই অবুঝ ছোট ছোট ছেলেরা বুঝে না তারা শুধু বুঝে ঈদ মানে নতুন জামা ঈদ মানে নতুন নতুন খাবার তাই তাদের মুখে এক চিলতে হাঁসি ফোটাতে আমাদের এই চেষ্টা, এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশন যে ভাবে সামাজিক ও মানবিক কাজে প্রতিনিয়ত সহায়তা করে তার জন্য সংগঠনটির সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মামুনুর রশীদ নোমানী। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে নিজেদের মিলিয়ে ধরতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন বলে মন্তব্য ব্যক্ত করেন তিনি।
সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই সামাজিক ও মানবিক বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশন ও ফ্রেন্ডস ফর লাইফ ।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন
www.fflbdfoundation.com
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com