নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল - পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে ফুটপাত এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ফলে হচ্ছে নিয়মিত দুর্ঘটনা। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটলেও অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদে কারও কোনো উদ্যোগ নেই। দখলদারেরা সম্ভবত এতটাই শক্তিশালী যে তাদের কারণে মানুষের জীবন গেলেও তাদের স্পর্শ করার সুযোগ নেই। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের একের পর এক উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখলেও ক্রমেই গতিহীন হয়ে পড়ছে এ মহাসড়কটি। যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা আর মহাসড়কের জায়গা দখল করে ব্যবহারের ফলে এ মহাসড়কেই লেগে থাকছে যানজট। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, দিনে দিনে এ সমস্যা বাড়ছেই। মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনাই এই সমস্যার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন তারা।
প্রায় কয়েক কিলোমিটার মহাসড়কে কমবেশি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। রীতিমতো দখলের মহোৎসব চলছে মহাসড়কের দু’পাশজুড়ে। নির্মাণ করা হয়েছে স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ধরনের কাঠামো। তবে অস্থায়ী স্থাপনাই বেশি। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতারাই এই দখলবাজির সঙ্গে যুক্ত। দিন দিন দখলের মাত্রা বাড়লেও সড়ক ও জনপথ অধিদফতর থেকে নেয়া হয় না কোন জোরালো পদক্ষেপ । স্থানীয় সূত্র জানায়, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক রুপাতলী এলাকার বেশিরভাগ স্থানেই রয়েছে অবৈধ স্থাপনা। মাঝে মধ্যে সেগুলো উচ্ছেদ করা হলেও আবার তা গড়ে ওঠে। এসব এলাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে টং দোকান, চা স্টল, খাবার হোটেল, কাপড়ের দোকান, কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর দোকান।
ভুক্তভোগিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বছরে মাত্র দুই বার ঈদের আগে ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। ঈদ শেষে আবার আগের অবস্থা ফিরে আসে। বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। সরকারি বিধানেও তা উল্লেখ রয়েছে। তবে এটা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। জানা গেছে,বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের দু’পাশে দোকানপাট গড়ে ওঠা, রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং, মানুষের চলাচল, ছোট বড় গাড়ির অবাধ চলাচল, বিভিন্ন জায়গায় ঘন ঘন বাস স্টপেজের কারণে ধীর গতি ও যানজটে পড়তে হচ্ছে দূরপাল্লার পরিবহনকে। এসব কারণে মেজাজ হারাচ্ছে মহাসড়কটি। মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনার কারণেই দিন যতো যাচ্ছে যানজট ততো বাড়ছে।
রুপাতলীতে দায়িত্বে থাকা পুলিশের কর্তব্যরত এক সদস্য জানান, সবজি বোঝাই ট্রাক নিয়ে এ সড়ক থেকে চলাচল করার সময় দু’এক মিনিটের জন্য রাস্তা বন্ধ হলেই বাস ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ শত শত গাড়ি রং সাইডে (উল্টোপথ) দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে করে দু’দিক থেকেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যা যানজট পরিস্থিতিকে বেসামাল করে তোলে।
এছাড়াও অবৈধ স্থাপনার কারনে দুর্ঘটনাকবলিত বা আটকেপড়া গাড়ি সরানোর জন্য ঘটনাস্থলে রেকার দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হয় না। রাস্তার উপর রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, বাস, মিনিবাস, পার্কিং করা থাকে। এতে দ্রুতগামী গাড়িগুলো আটকা পড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান বলেন, বিয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে । সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com