স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন।তদন্ত রিপোর্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে দাখিল করেছেন তদন্ত কমিটি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের শৃংখলা -৩ শাখা হতে প্রাপ্ত স্মারক ৫৬০ এর পত্র অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রনালয় অধ্যক্ষ সাহিদুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য'র তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। তদন্ত কমিটির আহবায়ক হলেন বরিশাল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ, সদস্য সচিব হলেন বরিশাল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সদস্য ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
তদন্ত কমিটি কয়েকদফা বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে সরেজমিন পরিদর্শন ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এবং অভিযোগকারীর সাথে সাক্ষাৎ করে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহবায়ক। তারা এও জানিয়েছেন যে,ইতিমধ্য তদন্ত রিপোর্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি মাধ্যমিক -৩ শাখা হতে ৯২৬ নং স্মারকে ১২ জানুয়ারী সিনিয়র সহকারি সচিব মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে তদন্ত কমিটিকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তক্রমে ৭ কার্যদিবসের মধ্য প্রতিবেদন প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী নাজমুল হক জানান,আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিবের নিকট অভিযোগ দিয়েছিলাম। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন,
বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাহিদুর রহমান মজুমদার আর্থিক অনিয়ম,দুর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতা, খামখেয়ালিপনা,পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করা,পর্ষদের সভাপতির আদেশ অমান্য করা,ফান্ডে অর্থ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন বন্ধ করে দেয়া,শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বেতনের অতিরিক্ত বিশ ভাগ টাকা নেয়া,কর্মচারিদের অতিরিক্ত কর্মের টাকা না দেয়া,লাগাতার প্রায় আড়াইমাস কর্মস্থলে না থাকা। কর্মস্থলে না থেকে গাড়ির তেল, ভুয়া বিল ভাউচার এর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাহিদুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে।
অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রমান পেয়ে ভুয়া বিল ভাউচার ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছেন পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মোঃ ইয়ামিন চৌধুরী। এছাড়া সাবেক সভাপতি অমিতাভ সরকার অধ্যক্ষকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে দুটি শোকজও করেছেন। শিক্ষক ও কর্মচারিদের বেতন বন্ধ করে দেয়ার পরে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বরাবরে শিক্ষক কর্মচারিদের আবেদনেও অধ্যক্ষের অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। আর অনিয়মের প্রমান পেয়েছেন সভাপতিও। বেতনের অতিরিক্ত বিশ ভাগ টাকা আটকে দিয়েছেন সভাপতি।
বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সম্প্রতি
গাড়ির ভুয়া বিল ভাউচার, বেতনের অতিরিক্ত শতকরা বিশ ভাগ বেতন নেয়ার কারনে একটি শোকজ করে এবং সাবেক সভাপতির আদেশ থাকা সত্ত্বেও তার অাদেশ অমান্য করে একজন শিক্ষকের বেতন না দেয়ার কারনে দ্বিতীয় শোকজ করেন।
২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-২ শাখা থেকে
বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষের অতিরিক্ত ভাতা সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের মুল বেতনের শতকরা ২০ ভাগ বিশেষ ভাতা (অতিরিক্ত ভাতা) প্রদানের সুযোগ নেই। বিগতদিনে দ্বায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ পরিচালনা পর্ষদের ৪২ তম সভায় বিষয়টি সরকারের হিসাব শাখায় যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান করলেও বর্তমান অধ্যক্ষ যোগদানের পর থেকেই পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি ছাড়া ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আদেশ অমান্য করে বেতনের অতিরিক্ত শতকরা বিশ ভাগ বেতন নিচ্ছেন যা অবৈধ ও দুর্নীতি।
গত ১১ জুন বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৪০ জন স্থায়ী শিক্ষক ,কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে বেতন অব্যাহত রাখার একটি আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করেন অধ্যক্ষ যোগদানের তারিখ থেকে শতকরা বিশ ভাগ প্রেষন ভাতা গ্রহন করে আসছেন যা মন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার অধ্যক্ষের মে’২০ ও জুন ‘২০ এর বেতন আটকে দিয়ে বেতনের অতিরিক্ত শতকরা বিশ ভাগ বাদ দিয়ে বেতন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে অধ্যক্ষ সাহিদুর রহমান মজুমদার গত ২৫ মার্চ’২০ থেকে ২ জুন’২০ তারিখ পর্যন্ত বরিশালে ছিলেন না, ছিলেন ঢাকায়। অথচ অধ্যক্ষ এপ্রিল ও মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির গাড়ি ব্যবহারের জ্বালানী ও মেরামতের ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল করেন। তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ ইয়ামিন চৌধুরী তখন অধ্যক্ষকে বলেছিলেন এপ্রিল ও মে মাসে আপনি তো ঢাকায় ছিলেন এছাড়া কলেজ করোনার জন্য বন্ধ ছিল তাহলে কেমনে জ্বালানীসহ অন্যান্য গাড়ি সংক্রান্ত বিল হলো। তখন অধ্যক্ষ ভুয়া বিল ফিরিয়ে আনেন। এ ব্যাপারে গাড়ির ড্রাইভার মোঃ শাহিন বলেন, ২৫ মার্চ ‘২০ থেকে গাড়ি গ্যারেজে। আমি গাড়ি ড্রাইভ করি নাই। অধ্যক্ষ স্যার বলেছেন বিল ভাউচার করে দিতে বলে তাই বিল ভাউচার করে দিয়েছি। অধ্যক্ষ স্যারের আদেশ অমান্য করার ক্ষমতা কি আমার আছে প্রশ্ন করেন তিনি।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর ২৩৪৯ নং স্মারকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণের লক্ষ্যে নিয়োগ,পদোন্নতি,স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর ও অর্থ ব্যয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রসঙ্গের শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তিতে ১২ টি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ,পদোন্নতি,স্থাবর -অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর (প্রাতিষ্ঠানিক দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনের ব্যয় ব্যতিত) এবং নগদ ও ব্যাংকে সংরক্ষিত অর্থ ব্যয়ের উপর নির্দেশক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ৮ নং ক্রমিকে রয়েছে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর সরকারিকরণ পরবর্তী ১২ টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মডেল স্কুল এন্ড কলেজ) পরিচালনা শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় আত্তীকরন প্রক্রিয়া সম্পুর্ন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে কর্মরত অধ্যক্ষ ও শিক্ষত কর্মচারিগন স্ব স্ব পদে কর্মরত থাকবেন, শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন ভাতা পরিশোধ অব্যাহত থাকবে। প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাহিক ব্যয় নির্বাহ অব্যাহত থাকবে। অধ্যক্ষ ও সংশিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারগনের যৌথ স্বাক্ষরে সকল আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের শিক্ষক অশিক্ষক কর্মচারিগনের আত্তিকরনের পুর্ববর্তী সময় পর্যন্ত /পুনঃরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত পুর্বের কমিটি /গভর্নিং বডি দ্বারা পরিচালিত হবে।
অথচ অধ্যক্ষ সাহিদুর রহমান মজুমদার যোগদানের পরেই সিসিটিভি ক্যামেরা ক্রয়,ভবন মেরামত,অধ্যক্ষের বাস ভবন মেরামত,টেবিল চেয়ার মেরামত,ভবনের ছাঁদ মেরামত, পানির লাইন স্থাপনসহ উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন মন্ত্রনালয় ,শিক্ষা অধিদপ্তের আদেশ নিষেধ অমান্য করে। এছাড়া তিনি পরিচালনারপর্ষদকে পাশ কাটিয়ে উন্নয়নের নামে এসব আর্থিক কর্মকান্ড করেছেন যা সরকারি আদেশ অমান্য করেছেন।
অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের নামে সরকারি বিধি ও ক্রয় সংক্রান্ত বিধি না মেনে নিজেই কেনা কাটা করেছেন অর্থ আত্মসাতের জন্য। সরকারি নিয়ম না মানার কারনে প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ টাকা তসরুপ হয়েছে ফলে অধ্যক্ষ হয়েছেন আর্থিক ভাবে লাভবান।
বর্তমানে অধ্যক্ষের চতুরতা ও খামখেয়ালীপনা, দুর্নীতি আর অনিয়মের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়া তিনি শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্য গ্রুপিং সৃষ্টি করছেন নিজের দুর্নীতি অনিয়ম ঢাকতে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের হয়রানী করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ফল ফলাদী অধ্যক্ষ বিগত দিনের রেওয়াজ ভেঙ্গে বস্তা ভরে নিয়ে যান ঢাকাতে বলে অভিযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
এদিকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ক্লাশের নামে আদায় কৃত অর্থ থেকে শতকরা ১৫ ভাগ অর্থ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য বন্ধ নীতিমালা ‘১২ এর বিরোধী। নীতিমালার ২ এর (গ) তে উল্লেখ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং সহায়ক কর্মচারীদের ব্যয় বাবদ ১০ শতাংশ অর্থ রেখে অবশিষ্ট অর্থ অতিরিক্ত ক্লাসের সাথে নিয়োজিত শিক্ষকদের মধ্যে বন্টন করা হবে। এক্ষেত্রে অধ্যক্ষের নামে কোনো অর্থ বরাদ্দ না থাকলেও অধ্যক্ষ অবৈধভাবে আদায়কৃত অর্থের শতকরা ১৫ ভাগ শিক্ষকদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। যেটা অবৈধ ও অনিয়ম আর দুর্নীতি। এছাড়া অধ্যক্ষের বাস ভবনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের দ্বারা রান্নাসহ অন্যান্য বাসার কাজ করানো হয় ফলে কর্মচারীরা বিরক্ত। এবং তারা অনিহা প্রকাশ করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, অধ্যক্ষ তিনি একজন স্বেচ্চাচারি মনোভাবের মানুষ। তিনি একা একাই সব করেন। কারো আদেশ নিষেধ মানেননা। তিনি বলেন আমরা হুকুমের গোলাম।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক
সিনিয়র শিক্ষক সাংবাদিকদের বলেছেন, অধ্যক্ষের অনিয়ম,দুর্নীতি এবং যেসব অভিযোগ উঠেছে তার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিৎ। এ ব্যাপারে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকল শিক্ষকরা বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের সাথে স্বাক্ষাৎ করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিরক্তি প্রকাশ করেন। এ সময় ব্যাপক হৈচৈর সৃষ্টি হয়। শিক্ষরা বলেন, অধ্যক্ষের খামখেয়ালীপনার কারনে শিক্ষকদের বেতন বরাদ্দের অর্থ ফেরৎ যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। শিক্ষকদের প্রায় এক বছর যাবৎ বেতন বন্ধ অথচ অধ্যক্ষ জানুয়ারী পর্যন্ত অগ্রীম বেতন পাশ করিয়ে রেখেছিলেন যা অবৈধ ও অন্যায়।
অনিয়ম, দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত কমিটিতে থাকা একজন নাম প্রকাশের শর্তে জানান,অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উল্থাপিত অভিযোগের অধিকাংশই সত্য প্রমানিত হয়েছে। অভিযোগকারী ৩৫ ফর্দ কাগজপত্র দিয়েছেন অভিযোগের স্বপক্ষে। এসব কাগজপত্রে প্রমানিত হয়েছে অনিয়মগুলো।
প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষকও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উল্থাপিত অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঐ শিক্ষকরা বলেন অধ্যক্ষের অনিয়মের ফলে আজ ডুবে যাচ্ছে এ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির সুনাম।
শিক্ষকরা অধ্যক্ষ সাহিদুর রহমান মজুমদার কে প্রত্যাহার পুর্বক একজন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের একজন অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাহিদুর রহমান মজুমদারের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মোবাইলে মঙ্গলবার রাত ৮ টা ৫৭ মিনিটে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
ফলে অধ্যক্ষের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য,ইতিপুর্বে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাহিদুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করেছেন ডিজিএফ আই ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এছাড়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে পত্র প্রদান করেছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com