নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশালে থানা পুলিশে অভিযোগ করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে একটি পরিবার। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ওই পরিবারের নারীসহ অন্তত ৬ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। কাজিরহাটের স্থানীয় আন্ধারমানিক গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরের হামলায় আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল খালেক (৪০) নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।স্থানীয় সূত্রে জান গেছে, আন্ধারমানিক গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদারের সাথে জাকির হাওলাদারের সাথে র্দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হলেও উভয়গ্রুপের বিরোধ মেটানো সম্ভব হয়নি। জানা গেছে- সর্বশেষ একই বিরোধে খালেক হাওলাদারের স্ত্রী ফজিলত বেগম থানায় একটি অভিযোগ করেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- ফজিলত বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ঘটনাটি তদন্ত করে যান। পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত করতে যাওয়ায় অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে হলেও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। কিন্তু পুলিশ সেখান থেকে চলে আসার পরপরই প্রতিপক্ষ জাকির হাওলাদার, রহিম, কবির, হুমায়ন হাওলাদার, জুয়েলসহ ঐক্যবদ্ধ ৭ থেকে ৮ তাদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে কুপিয়ে আব্দুল খালেক ও তার দুই মেয়সহ পরিবারের ৬ জনকে রক্তাক্ত করে। পরবর্তীতে আব্দুল খালেক উদ্ধার করে বরিশালে ও দুই মেয়েকে খুলানা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।হামলার শিকার আব্দুল খালেকের স্বজনদের অভিযোগ, প্রতিপক্ষরা তার পরিবারের ওপর হামলা করলেও পুলিশ হামলাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অভিযোগ গ্রহণ না করে জাকিরের মামলা নিয়েছে এবং হয়রানিও শুরু করেছে। স্বজনেরা আরও জানায়- ওই সন্ত্রসী হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় ইউপি সদস্য শিল্পি বেগম।
তবে এই ঘটনায় এক পক্ষের নয়, উভয়ের মামলা গ্রহণ করেছেন, জানান ওসি সাজ্জাদ হোসেন। একই সাথে এই পুলিশ কর্মকর্তা জাকির হাওলাদারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com