দেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ফূর্তির জন্য মাসিক টাকা দিয়ে নারীদের রাখতেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।নাসির উদ্দিন ও অমি ছাড়া গ্রেপ্তার অন্য তিন নারী হলেন, লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, এটা অমির বাসা। পরীমণির সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে নাসির তার তিন রক্ষিতাকে নিয়ে এ বাসায় পালিয়ে ছিলেন। মাদক রাখার অভিযোগে সে তিনজনকেও আমরা গ্রেপ্তার করেছি।
ওই বাসাটিতে অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন ব্যান্ডের বিদেশি মদ-বিয়ার ও ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে গ্রেপ্তার মেয়েদের দেখানো জায়গা থেকে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়।নাসির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাসিরের বিরুদ্ধে আগেও মাদক ও নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। নানা অভিযোগে তাকে উত্তরা ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জেনেছি। কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমরা সেগুলোর তদন্ত করব।
পরীমণি ক্লাবের সদস্য না হয়ে সেখানে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, সে (পরীমণি) স্বনামধন্য নায়িকা। ওখানে (বোট ক্লাব) যেতেই পারেন। গেলে যে তাকে ওখানে হ্যারেজ (হয়রানি) করবে সেটা ঠিক না। আসলে কী ঘটেছে তা বিস্তারিত তদন্ত করে বলতে পারব।
তিনি বলেন, এই ঘটনা নিয়ে রবিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন পরীমণি। সংবাদ সম্মেলনের পরপরই আমরা অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তবে যেহেতু রাতে মামলা হয়নি, তাই আমরা অ্যাকশনে যাইনি। সাভার থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করি।
হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণচেষ্টার মামলায় নাসিরকে সাভার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে বর্তমানে মাদক উদ্ধারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান হারুন।
শনিবার পরীমনি যে অভিযোগ করেছিলেন, সেটি থানায় আমলে নেওয়া হয়নি– এই বিষয়ে কী করবেন জানতে চাইলে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমরা পরীমনির সঙ্গে কথা বলব। আমরা প্রতিটি অভিযোগকে খতিয়ে দেখছি।