সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলায় পরকীয়া প্রেমের টানে স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন দুলাভাই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলা ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর পক্ষিয়া গ্রামে। জানা গেছে, চর পক্ষিয়া গ্রামের মো. আলী লার্টের ছেলে মো. সুজন ৭ বছর আগে প্রেম করে একই গ্রামের মো. রতন বেপারীর মেয়ে সাজেদা বেগমকে (২৫) বিয়ে করেন। সে সংসারে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।বিয়ের ৫ বছর পর আপন শ্যালিকা ও স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী হাছনুর বেগমের (১৪) সঙ্গে দুলাভাই সুজনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ সম্পর্ক গোপন থাকলেও একপর্যায়ে তা আর গোপন থাকেনি।শ্যালিকাকে তাঁর (দুলাভাইয়ের) বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে এসে কোরবানি ঈদের একদিন আগে ৯ জুলাই বিয়ে করেন দুলাভাই সুজন।স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে আপন শ্যালিকাকে বিয়ে করায় শুরু হয় বিপত্তি। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে সুজন শ্যালিকাকে ভোলা শহরের একটি ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে রাখেন। বর্তমানে শ্যালিকা ওই ভাড়াটিয়া বাসায় আছে বলেও সুজন জানিয়েছে।এদিকে স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করায় এর ন্যায় বিচারের দাবিতে স্থানীয় বিচারকদের ধারে ধারে ঘুরেও কোনো ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না বলে দাবি সুজনের শশুর রতন বেপারীর।তিনি অভিযোগ করে জানান, তাঁর জামাই সুজন গোপনে তাঁর স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেম করে সকলের অজান্তে তাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ হলে এ নিয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যর কাছে বিচার দিয়েও তিনি ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না।এ বিষয়ে সুজন জানান, তিনি দীর্ঘ দুই বছর ধরে শ্যালিকা হাছনুর বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। হাছনুরকে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে তিনি ভর্তিও করে দিয়েছেন। শ্যালিকা ও তাঁর প্রেম খুব গভীর হওয়ার ফলে তিনি স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন। স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, এসব বিষয় নিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে এখন তিনি তাঁর স্বামীর সংসারেই আছেন।এ বিষয়ে চর পক্ষিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মো. জসিম খালাসি জানান, সুজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন মাদক কারবারি। কয়েকমাস পূর্বেও পুলিশ তাকে মাদকসহ গ্রেফতার করেছে। স্থানীয়ভাবে সে লার্ট গ্রুপের বংশধর হওয়ায় স্থানীয় বিচারকরা তাঁর বিচার করতে অসম্মতি জানান।পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জহির জানান, বিষয়টি তাকে অবগত করা হয়েছে৷ সুজন উশৃংখল হওয়ায় মেয়েটির পরিবারকে আইনের সহায়তা নিতে বলেছিলেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com