শাহীন মুন্সী : গোপালগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবে অজানা কারণে গোপালগঞ্জের প্রশাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ এ দপ্তরের সেবা পেতে ঘুরতে হচ্ছে মাসের পর মাস। দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করতে পারছেন না। পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে সহকারী পরিচালক আশীষ কুমার দাস আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেও শক্ত সিন্ডিকেটটি ভাঙতে পারছেন না। গত ২৪ ও ২৫শে আগস্ট সরজমিন গিয়ে জালাল শেখ, আরতি বাইন, জিল্লাল মোল্লা, সমির বাইনসহ একাধিক ভুক্তভোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আশিষ কুমার দাসকে উপেক্ষা করে অফিস সহকারী পদে দায়িত্বে থাকা আবু তাহের অফিসের হর্তাকর্তা সেজেছেন। পাসপোর্ট বিতরণ কক্ষের সামনে প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের দাঁড় করিয়ে রেখে ফোনে কথা বলাসহ খাতিরের লোকজন নিয়ে গল্পে মাতেন। অফিসের সকল অনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম জমা থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত রয়েছে তার সিন্ডিকেট।
বিজ্ঞাপন
অফিসের বাইরে রয়েছে তার এক ডজন দালাল। প্রভাবশালী আবু তাহেরের ইশারাতেই গ্রাহকদের বিভিন্ন কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে সমাধান করার কথা বলে হাতিয়ে নেয়া হয় হাজার হাজার টাকা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বরত একজন আনসার সদস্য বলেন, অফিস সহকারী আবু তাহের পাসপোর্ট বিতরণ রুমে অধিকাংশ সময় ফোনে কথা বলা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। মাঝেমধ্যে গ্রাহকসহ আমাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। পাসপোর্ট বিতরণের দায়িত্বে থাকা অফিস সহকারী আবু তাহের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যখন সার্ভার না থাকে তখন মাঝেমধ্যে একটু ফোনে কথা বলি, এটা স্বাভাবিক নিয়ম। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আশিষ কুমার দাস বলেন, আমার কাছে পূর্বেও তার বিষয়ে অভিযোগ এসেছে, জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com