ফকির শহিদুল ইসলাম,খুলনা থেকেঃ
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এর নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আজ বুধবার বেলা ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় উপাচার্য তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-গবেষণা, স্বতন্ত্র অর্জন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন।
সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা নতুন প্রজন্মের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশৃঙ্খল একাডেমিক পরিবেশ, শিক্ষকদের গবেষণা মনস্কতা, অর্জন ও অগ্রগতিকে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, জলবায়ুগত পরিবর্তন ও পদ্মাসেতু পরবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরের ধারা এবং বিনিয়োগসহ অন্যান্য সুযোগ ও সম্ভাবনার নানা ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিতে পারে। এ অঞ্চলের সমস্যা ও সম্ভানার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে দিকনির্দেশনা দেওয়া গেলে এবং সরকার সে ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুললে এ অঞ্চলে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোনো অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তখনই বিনিয়োগে আগ্রহী হবে, যখন প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা গড়ে উঠবে। বিনিয়োগের উপযুক্ত ক্ষেত্র চিহ্নিত করা এবং পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা এখন জরুরি। তিনি বলেন, মোংলা সামুদ্রিক বন্দরের বিকাশ হচ্ছে, ব্যবহার বাড়ছে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে সন্নিহিত শহর আধুনিকমানের নয়। বিশ্বমানের বন্দরের পাশাপাশি বিশ্বমানের শহর পরিপূরক।
উপাচার্য সাবেক উপদেষ্টার পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে বলেন, দেশের অন্যসব অঞ্চলের তুলনায় নানাদিক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিবেশ ও পরিবেশগত বৈচিত্র্য রয়েছে। জলবায়ুগত পরিবর্তনের প্রভাব এ অঞ্চলেই বেশি। নানামাত্রিক বিরূপতার মধ্যেও মানুষ খাপ খাইয়ে নিতে ক্রমাগতভাবে লড়াই করে যাচ্ছে। বিনিয়োগ বা বাণিজ্যিক বিকাশের ক্ষেত্রে সুন্দরবনের সাসটেইনিবিলিটির প্যারামিটারগুলোতে বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়সহ নানামুখী গবেষণা হচ্ছে। আমরা যেকোনো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা বা প্রকল্পে অংশগ্রহণ এবং এসব গবেষণার কাজে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী। সাক্ষাতকালে আলোচনা শেষে তিনি সাবেক উপদেষ্টাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত, সহযোগী অধ্যাপক ড. শিল্পী রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা এবং ব্রাকের পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিটের খুলনা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. আবু সাঈদ উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন এবং ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রধান ও সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি ইউআরপি ডিসিপ্লিনে অবস্থিত সাসটেইনেবল, হেলদি এন্ড লার্নিং সিটিস এন্ড নেইবারহুড শীর্ষক প্রকল্প অফিস পরিদর্শন করেন। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক ড. শিল্পী রায় তাকে স্বাগত জানান এবং গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, পিপিআরসির নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পদ্মাসেতু পরবর্তী প্রভাব সরেজমিনে দেখার জন্য উপকূলীয় অঞ্চল সফর করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com