রানা ,পটুয়াখালী ঃ
পটুয়াখালী জেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের আব্দুল হাই দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী তানিয়াকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের ফলে লজ্জা ও ঘৃণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয় তানিয়া।
ধর্ষক শাওন সরদার ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবীতে ১৯ জানুয়ারি রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়নের শত শত জনতা,মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা সুপার মোঃ খলিলুর রহমান, সহ সুপার ইতিশা হাসান, শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান,মোঃ মিলন মিয়া, হারুন-অর-রশিদ,জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম আজাদ,মোস্তাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, সুলতান খান, আফরোজা আক্তার ও তাসলিমা আক্তারসহ বিদ্যালয়ের ছাত্রী বৃন্দ।
এই ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ায় তানিয়া নানা সাত্তার ফকির পটুয়াখালী সদর থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন শাওন সরদার ১৬ পিতা আব্দুর রাজ্জাক সরদার, হোসেন মাতুব্বর, পিতা-নূর-ই-আলম মাতুব্বর, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, তসলিম সরদার, পিতা-চাঁন মিঞা সরদার,নূর জামাল চৌকিদার পিতা মোসলেম আলী হাওলাদার ও রাজ্জাক হাওলাদার পিতা মুজাফফর হাওলাদার।
মামলা সূত্রে জানা যায় মোসাম্মৎ তানিয়া আক্তার ( ১৩),পিতাঃ মোঃ হালিম মোল্লা চালিতাবুনিয়া মাদারবুনিয়া, উপজেলা ও জেলা পটুয়াখালী। তানিয়ার নানার অভিযোগ আমার মেয়ের ঘরের নাতনী তানিয়া আক্তার হাজিখালী আব্দুল হাই দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
তানিয়া আক্তার এর সাথে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে শাওন সরদার ও হোসেন মাতুব্বর এর সাথে পরিচয় হয়। ১২ জানুয়ারি আমার নাতি জামালের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে আটটার দিকে শাওন সরদার ও হোসেন মাতুব্বর এবং অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় শংকরপুর গ্রামে তানিয়াকে একা পেয়ে বাড়ির মধ্যে নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় রাতভর তাকে ধর্ষণ করে। সকাল সাড়ে ছয়টার সময় তানিয়াকে ছেড়ে দিলে বাড়িতে এসে তানিয়া হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এবং আসামিদের হত্যার হুমকিতে তানিয়া বিষ খান। রাতেই তানিয়া মারা যান।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানায় বিষয়টি পটুয়াখালী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে যাহার নাম্বর ১৯৮(৩-১)তারিখ-১৭.০১.২০২০ইং। এবং ঐ দিনই মূল আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com