পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ২নং বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তানজিন নাহার সোনিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়েছে ১১ ইউপি সদস্য। জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ১১ ওয়ার্ড সদস্য স্বাক্ষরিত পত্রে এই অভিযোগ আনা হয়। আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ইউনিয়ন পরিষদ অচল হয়ে পড়ায় একজন ব্যতীত সকল সদস্য ও সদস্যাগণ ৫ই সেপ্টেম্বর জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই অনাস্থা দেন। তারা দুর্নীতি সংক্রান্ত কার্যবিবরণী তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্র্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন। অনাস্থা আবেদন পত্রে যে সকল ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন- ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য মোসা. লাভলী বেগম, ৪, ৫ ও ৬ নং সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য মোসা. নাসিমা রহমান, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য মোসা. তাসলিমা বেগম, ১নং ওয়ার্ড সদস্য হেমায়েত উদ্দিন, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, মো. শিহাব উদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রেজাউল করিম, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. কামাল হোসেন ভূঁইয়া, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো. বাবুল হোসাইন ও ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মো. কামরুল হাসান। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচ শতাধিক লোকের স্বাক্ষর রয়েছে এই অনাস্থা পত্রে। এতে ১০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদের কোনো ধরনের সভা না করে মাদক ব্যবসায়ী ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য বাদল হাওলাদারকে প্যানেল চেয়ারম্যান করা, ডিজিটাল সেন্টারে জেলা প্রশাসন নিয়োজিত উদ্যোক্তাকে না বসিয়ে তার নিজস্ব লোক দিয়া ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনা করা, জন্মনিবন্ধনে চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোক দিয়ে ৫০০-১০০০ টাকা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করা, সরকারি বরাদ্দের বিষয় সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে মনগড়া কমিটি জমা দেয়া, প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে টাকা দাবি, নিয়মিত মিটিং না করে সদস্যদের আটকে রেখে স্বাক্ষর রাখা, এনজিও এর লোক দ্বারা ট্যাক্স ও নেইম প্লেট লাগানোর মাইকিং করে সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা নাহিদ জানান, ৭ই সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দিয়েছে, আমি অভিযোগপত্র সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখায় প্রেরণ করেছি। স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হুমায়ুন কবির জানান, অভিযোগ দিয়েছে, দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ দেখা হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com