দশমিনা প্রতিনিধি
ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে প্রতি অর্থবছরে সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন। অন্যতম লক্ষ্য ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের সহায়তা প্রদান করে মা-ইলিশ নিধন থেকে বিরত রাখা। বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় মা-ইলিশ রক্ষা ও জেলেদের নানা সহায়তায়। তবুও রাতের আঁধারে তেতুঁলিয়ার তীরে বসে মা-ইলিশের হাট।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় জেলেদের জন্য নানা সময় আসে নানান বরাদ্দ। যে দপ্তরের আওতায় জেলেদের নানা বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেই দপ্তরের আওতায় থাকা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা মৎস্য বিভাগের নেই দ্রুতগতির নৌ-যান। কমগতি সম্পন্ন নৌ-যান দিয়ে চলে জেলে আর মা-ইলিশ রক্ষার দায়িত্ব থাকা সংশ্লিষ্টদের মাঝে ইঁদুর-বিড়াল খেলা।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে রাতের আঁধারে তেতুঁলিয়া নদীর তীরের একাধিক পয়েন্টে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকায় প্রতি হালি বেচা-কেনা হয় মা-ইলিশ। একাধিক সিন্ডিকেট কম টাকায় কিনে তা মজুদ করে বিক্রি করছেন আবার চড়া দামে।
রাত ১২টার পর তেতুঁলিয়ার পাড়ে গেলেই দেখা মিলবে পাইকারদের। মা-ইলিশ রক্ষার দায়িত্ব থাকা সংশ্লিষ্টরা কম গতিসম্পন্ন নৌ-যান নিয়ে জেলেদের ধাওয়া দিলে অনায়াসে জেলেরা পালিয়ে যান। আবার একদিকে ধাওয়া দিলে অন্যদিকে জাল ফেলেন জেলেরা। রীতিমতো তেতুঁলিয়া আর বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে চলছে মা-ইলিশ নিধনের মহোৎসব।
তবে মা-ইলিশ রক্ষায় দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল-হেলাল ইতোমধ্যে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন বলে ইলিশ নিধন না করা জেলেদের দাবি। তাদের মতে, একজন ইউএনওর সদিচ্ছায় মা-ইলিশ রক্ষা সম্ভব নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর থেকে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ নিধনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি হাসান মোর্শেদ বলেন, সংশ্লিষ্টরা কঠোর হলে জেলেরা মাছ ধরার সাহস করবে না। মৎস্য বিভাগ হয়তো ইচ্ছা করেই ধীরগতির নৌ-যান ব্যবহার করে। যাতে জেলেরা পালিয়ে যেতে পারে। মৎস্য বিভাগ টাকার বিনিময়ে জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ করে দেন এমন বিষয় শুনেছি। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা মদদ দেই না বা এগুলো করিও না।
দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদারের নাম্বারে বক্তব্যের জন্য ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, এটা সত্য যে আমাদের মৎস্য দপ্তর ও নৌ-পুলিশের সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়। তবে আমরা সমন্বয়ের চেষ্টা করছি। আরও সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে। কিছু পয়েন্টে মা ইলিশ আহরণ ও কেনাবেচা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com