কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিনয় আর গ্ল্যামারে তিনি বরাবরই অনন্য। লাখো পুরুষের পছন্দের নারী তারকা হলেও সংসারজীবনে তিনি একেবারেই বিমুখ! মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে সেই বিয়ে দুই বছরের বেশি টেকেনি। একমাত্র মেয়েকে কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে একা হাতে মেয়ে অন্বেষাকে বড় করছেন অভিনেত্রী। অন্বেষাই অভিনেত্রীর সবচেয়ে কাছের বান্ধবী। মাকে বিয়ে করাতে বেশ তোড়জোড় করছেন স্বস্তিকাকন্যা। মায়ের জীবনের একাকিত্ব ঘোচাতে তার চেষ্টারও কমতি নেই।
এবার ডেটিং অ্যাপে স্বস্তিকার নাম লিখিয়েছেন অন্বেষা। কিন্তু তার পরের ঘটনা শুনলে পেটে খিল ধরবে হাসতে হাসতে!
প্রেম নিয়ে বরাবরই খোলামেলা স্বস্তিকা। প্রেমে পড়ার কথা হোক বা পুরনো সম্পর্ক কোনো কিছু নিয়েই খুব বেশি রাখঢাক তাঁর পছন্দ নয়। একটা সময় পরমব্রত, জিৎ-এর মতো নায়ক থেকে সৃজিত-সুমনের মতো পরিচালকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে স্বস্তিকার। গত কয়েক মাসে স্বস্তিকা-মীরের বন্ধুত্বও থেকেছে চর্চায়। এর মাঝেই অভিনেত্রী জানালেন, মুম্বাইয়ে থাকাকালীন ডেটিং অ্যাপ হিন্জ-এ স্বস্তিকার প্রোফাইল খুলেছে তার মেয়ে! হ্যাঁ, আরজে স্তুতির সঙ্গে সেই অজানা গল্প ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
স্বস্তিকা জানান, সেই প্রোফাইলের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সামলাত খোদ অন্বেষা। কেমন পুরুষ পছন্দ স্বস্তিকার? সেই বিবরণ দেওয়া থেকে সম্ভাব্য প্রেমীকের প্রস্তাবে ‘রাইট সোয়্যাপ’, এমনকি সেইসব পুরুষদের সঙ্গে চ্যাটিং- মায়ের নাম নিয়ে সবটাই সারত মেয়ে। কারো সঙ্গে বাস্তবে ডেটে না গেলেও গোটা প্রক্রিয়াটাই মা-মেয়ের কাছে বেশ মজাদার ছিল। স্বস্তিকার কথায়, ‘মেয়ে বলল-মা, তোমার জীবনে একটু স্পাইস দরকার, একটু অ্যাকশন দরকার, বুঝলে!’
এরপর কী হলো? মুম্বাই থেকে কলকাতা ফেরার সময় অন্বেষা মাকে সচেতন করে জানায়, ‘প্রোফাইলটা লগ আউট করো’। অভিনেত্রী বলেন, ‘মুম্বাইয়ে বসে দুজনে ওই সব ফালতু কাজ করছিলাম, কিন্তু কলকাতায় তো আর সম্ভব নয়। আমি অত ব্যাপার-স্যাপার বুঝি না, কিন্তু কলকাতায় পৌঁছলে ওখানকার লোকজন অ্যাকাউন্ট দেখতে পাবে বা এমন কিছু মেকানিজম রয়েছে।’ প্লেন থেকে নেমে ফোন সুইচ-অন করতেই মেয়ের ৭০টা মেসেজ দেখে ঘাবড়ে যান স্বস্তিকা। লগ-আউটের বদলে সোজা ফোন থেকে অ্যাপটা ডিলিট করে দেন স্বস্তিকা, কিন্তু প্রোফাইল বহাল তবিয়তে থেকে যায়। এরপর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে শত শত মেসেজ আসতে থাকে অভিনেত্রীর কাছে। লোকজন সচেতন করে স্বস্তিকাকে জানান, ‘ম্যাডাম আপনার নামে ডেটিং সাইটে কেউ ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছে, আমি সেটা রিপোর্ট করছি।’ এইসব শুনে লজ্জায় পড়েন স্বস্তিকা। অন্যদিকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মেয়ে বলে, ‘বেশ হয়েছে, আরো বানাও ডেটিং অ্যাপে প্রোফাইল।’
অবশেষে প্রকাশ্যে স্বস্তিকার স্বীকারোক্তি, ডেটিং অ্যাপের ওই প্রোফাইলটি বাস্তবেই তাঁর, সেটি ভুয়া নয়। সঙ্গে হাসতে হাসতে বলেন, ‘রিপোর্ট করার দরকার নেই। ওটা অরিজিনাল আমি। যাদের ওইসব সোয়্যাপ করার ইচ্ছা হবে করে দিয়ো, আমি নিশ্চয়ই দেখব।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com