আব্দুল্লাহ বাশার, ঝিনাইদহ:
বিদ্যুতের তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিকদের আটকিয়ে রাখা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে তথ্য নিতে বলা ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ২ কর্মকর্তা। বাংলাদেশ রুরাল ইলেক্ট্রিশিয়ান বোর্ড, যশোরর সুপারিনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোস্তফা কামাল ও ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করছেন। গত ২৬ জুলাই ঝিনাইদহে পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহ সম্পর্কে তথ্য নিতে যান কয়েকজন সাংবাদিক। তাদেরকে তথ্য না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তথ্য বলে অফিস থেকে বের করে দেন জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলী। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে পরেরদিন সকালে আরও কয়েকজন সাংবাদিক তথ্য নিতে যানে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে। তাদের সাথে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদেরকে মেইন গেইট ও অফিস ভবনের গেইট বন্ধ করে দিতে বলেন। প্রয়োজনে গুলি ছোড়ার নির্দেশ দেন। এই সংবাদ শুনে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে জড়ো হয় জেলায় কর্মরত আরও বেশ কিছু সাংবাদিক। তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেন ইসাহাক আলী। এই ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হলে প্রাথমিক একটি তদন্ত দল গঠন করেন পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। রবিবার লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন তদন্ত দলের সদস্যরা। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য চেয়েছেন তদন্ত দলের সদস্যরা। ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক নিজাম জোয়ার্দার বাবলু বলেন, জিএম সাহেব সাংবাদিকদের সাথে যদি এহেন আচরণ করতে পারেন। তাহলে সাধারণ পা-ফাঁটা কৃষক, দিন মজুরদের সাথে কেমন আচরণ করেন আমাদের সেটাই প্রশ্ন। তথ্য চাইলে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নেওয়ার কথা কেন বলবেন। জানাগেছে, সরকার ঘোষিত সিডিউল থেকেও কয়েকগুন বেশি সময় ঝিনাইদহে লোডশেডিং থাকছে। পল্লী বিদ্যুতের আওতায় থাকা সাধারণ মানুষ এই লোডশেডিং নিয়ে পড়েছেন মহা বিপাকে। কৃষকরা ধান চাষ নিয়ে পড়েছেন অনিশ্চয়তায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com