আব্দুল্লাহ বাশার, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সদর উপজেলার বিষয়খালী ক্লাস্টারের ১০টি এবং বাকি আরও বিভিন্ন ক্লাস্টারের ৩টি বিদ্যালয় রয়েছে এই তালিকায়। এই বিষয়ে বঞ্চিত বিদ্যালয়গুলির শিক্ষকরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন। তাদের বক্তব্য উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হাসান মাসুদের ভুলের কারণেই এই স্কুলগুলি বঞ্চিত হয়েছে। ৬ মাসে ছাত্র প্রতি দেড়শত টাকা হারে বৃত্তি দিয়ে থাকে সরকার। এই বিষয়ে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুধাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নতুন একটি অ্যাপস দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই অ্যাপস পরিচালনার জন্য কোন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা করছি। এই বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার মাসুদ আলম বলেন, নতুন সফটওয়্যার দিয়েছে ঈদের আগে। সে সময়ে সার্ভার ত্রæটির কারণে একেকটি স্কুলের উপবৃত্তির তথ্য সাবমিট করতে আধা ঘন্টা সময় লেগেছে। কারগরি ত্রুটির কারণে এমন হতে পারে। এমন নয় যে এই টাকা কেউ মেরে দিয়েছে। অধিদপ্তর থেকেই ছাড় হয়নি। ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপবৃত্তির জন্য একটি সেল রয়েছে। তার উপবৃত্তি বিষয়ক যাবতীয় কাজ করে। আমি খোঁজ খবর নিয়ে উপর মহলে কথা বলে দেখছি কি করা যায়। জানাগেছে, সদর উপজেলার বিষয়খালী ক্লাস্টারের কুঠিদুর্গাপুর, রঘুনাথপুর, কুলবাড়িয়া, ভরতপুর, চান্দেরপোল, কুতুবপুর, ভবানিপুর, পরমানন্দপুর, কয়ারগাছি, রামনগর ও খড়িখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির টাকা বরাদ্দ আসেনি অধিদপ্তর থেকে। অভিযোগ দিতে আসা এই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ আলমের ভুলের কারণেই এমন হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com