পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাত থেকে পটুয়াখালী শতভাগ বিপদমুক্ত বলে জানান পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রাহাত হোসেন। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ও অমাবস্যার প্রভাবে সাগর ও স্থানীয় নদীগুলোতে পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে উপকূলীয় অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে।
জানা গেছে, সোমবার দুপুর গড়িয়ে গেলে বৈরী আবহাওয়া আরও ঘনীভূত হয়। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে গোটা উপকূলবাসী। দমকা বাতাসের সঙ্গে চলতে থাকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত। টানা এ বৃষ্টিপাতে জেলা শহর ছাড়াও বেশ কয়েকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। পানিতে তলিয়ে যায় নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি। উপকূলের লোকজন দল বেঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করে স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। তবে এখন বিপদমুক্ত পটুয়াখালী।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রাহাত হোসেন জানান, রাত ৮টার পর থেকে সিত্রাং পটুয়াখালীর উপকুল সংলগ্ন এলাকা এড়িয়ে বরিশাল-চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে পটুয়াখালী শতভাগ বিপদমুক্ত। অতিভারি বর্ষণের কারণে সিত্রাং দুর্বল হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, সিত্রাং মোকাবেলায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সোমবার বিকালে বৈরী আবহাওয়া দেখা দিলে জেলার ৮টি উপজেলায় প্রস্তুত রাখা প্রায় ৭ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২৬টি মুজিব কেল্লায় অন্তত ৭২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এসকল আশ্রিতার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তবে আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে পটুয়াখালী এখন বিপদমুক্ত বলে জানানো হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন রাঙ্গাবালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ খালেক মুহিদ বলেন, আপাতত ঝড় ও বৃষ্টিপাত থেমে গেছে। মনে হচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে এসেছে। যেহেতু সাগর সংলগ্ন উপজেলা, তাই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া নারী-শিশু, বৃদ্ধাসহ অন্তত ১৯ হাজার মানুষ রাতে সেখানেই থাকবে। সকালে অবস্থা বুঝে যে যার মতো নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে যাবেন। তবে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com