নিজস্ব প্রতিবেদক ।। বরিশালের গৌরনদীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৫) অপহরন করে ৪ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ ও মুক্তিপনের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শহিদুল শিকদার নামের এলাকার চিহ্নিত নারী পাচারকারীর বিরুদ্ধে। শহিদুল উপজেলার বড় দুলালী গ্রামের কালু শিকদারের পুত্র। জঘন্য এ কর্মকান্ডের জন্য শহিদুলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন শহিদুলের স্ত্রী রেবা বেগমসহ এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে অভিযুক্ত শহিদুল শিকদার (৪২)কে আসামি করে শুক্রবার দুপুরে গৌরনদী থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। ওই স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, গত ২৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওই স্কুলছাত্রী। পথিমধ্যে সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছলে শহিদুল শিকদার তাকে অপহরণ করে আশোকাঠি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই তাকে (স্কুলছাত্রী) খুলনা শহরে শহিদুলের এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে জোরপূর্বক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে শহিদুল। পরে ঢাকার একটি বাসায় আটকে রেখেও তাকে (ছাত্রীকে) একাধিকবার ধর্ষণ করে শহিদুল। সেখান
থেকে ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে কৌশলে ঢাকা থেকে পালিয়ে বাড়িতে গৌরনদীতে আসে ওই ছাত্রী। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার এসআই আব্দুল হক জানান, এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে অভিযুক্ত শহিদুল শিকদার (৪২)কে আসামি করে শুক্রবার দুপুরে গৌরনদী মডেল থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ২২ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ভিকটিমকে শুক্রবার দুপুরেই বরিশাল আদালতে ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শহিদুলের স্ত্রী রেবা বেগম তার স্বামীর জঘন্য এ কর্মকান্ডের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, শুধু ওই স্কলছাত্রী নয় বরং আমার স্বামীর আরও অনেক অপকর্ম রয়েছে যা আমি বিভিন্ন সময়ে দেখেও ঢেকে রেখেছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com