সঞ্জিব দাস, গলাচিপ(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
গলাচিপায় নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দারস্থ হল ৭ম শ্রেনী পড়–য়া একছাত্রী। পিতা ও দাদার বিরুদ্ধে নির্বাহী অফিসারের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করে অনন্য নজির স্থাপন করলো ওই ছাত্রী। উপজেলা নির্বাহী শাহ মো. রফিকুল ইসলাম ওই ছাত্রীর পিতা সিদ্দিক বিশ^াস ও দাদা ইউসুফ বিশ^াসকে আগামী ২ অক্টোবর তার আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ দিয়েছেন। এদিকে দাদা ইউসুফ বিশ^াস লোকজন নিয়ে স্কুল এলাকায় অবস্থান করেন। সুমাইয়া আসলেই তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাবে। এ আশংকায় ছাত্রীটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার বিকালে ভগ্নিপতি নাজমুলসহ ২জন লোক সুমাইয়াকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে। কিন্তু স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা ফিরে যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ বিশ^াসের ছেলে সিদ্দিক বিশ^াস তার মেয়ে গুয়াবড়িয়া এবি বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়াকে জোর করে বিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এর আগে সুমাইয়ার বড় বোন সোনিয়া পপিকে দশম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় বাল্য বিবাহ দেয়া হয়েছে। সুমাইয়ার সাথে ০১৭৩৩২৪৭৬৮১ মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে অভিযোগ করে, তার মা কুলসুম বেগমকে ৮ বছর আগে তার বাবা ডির্ভোস দেয়। এর আগেই জুলেখা বেগমকে বিয়ে করেন। সুমাইয়ার মা বর্তমানে ওমান প্রবাসী। দাদা ইউসুফ বিশ^াসের সাথেই থাকতো সুমাইয়া। বাবা সিদ্দিক বিশ^াস ও সৎ মা জুলেখা বেগমের প্ররোচনায় সুমাইয়াকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে সুমাইয়া পালিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে তার খালু আ. মন্নান মৃধার (নান্না মৃধা) বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সুমাইয়া আরও অভিযোগ করে, তার পিতা ০১৭৪৬২৯৬৬৩১ নম্বর মুঠোফোন দিয়ে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে দিবে এবং খালু মন্নান মৃধার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। কেন তুমি বিয়ে বসবে না এ প্রশ্ন করা হলে সুমাইয়া বলে, আমি তো এখনও শিশু, এ বয়সে বিয়ে নয়, আমি আরও পড়ালেখা করতে চাই।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com