প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ১০:২০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৮, ২০২২, ৮:০৪ অপরাহ্ণ
কাশফুলে হাসছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
কাশফুলে মিশে আছে শরতের সৌন্দর্য
ঋতু বৈচিত্রের এই দেশে ‘ঋতুর বৈচিত্র্য’ অনুভব করতে প্রকৃতির কোনো বিকল্প নেই। যদিও দিন দিন সেই বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে।
শীত এবং বর্ষাকাল স্পষ্টভাবে বোঝা গেলেও অন্যান্য ঋতুর বৈচিত্র্য খুব একটা দেখা যায় না। তবে নদ-নদীর চর এলাকা, বিরানভূমিতে কাশফুল ফুটলেই বোঝা যায় শরৎ এসেছে! বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বছরের এই সময়টায় কাশফুলের শুভ্রতায় ছেয়ে যায়। কাশফুল ফুটলেই বোঝা যায় ঋতুর পরিবর্তন। শরতের সৌন্দর্য।
এ সময় আকাশে ভাসতে থাকে খণ্ড খণ্ড সাদা মেঘ। কখনো দেখা যায় ঝকঝকে নীলাকাশে ছোপ ছোপ সাদা মেঘের ভেসে বেড়ানো। শরতে কাশফুলের পাশাপাশি ফোটে ছাতিম ফুল। বনবাদার বা সড়কের পাশে থাকা ছাতিম গাছ ভরে উঠে সাদা সাদা ফুলে। সন্ধ্যা নামলেই ফুল থেকে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র সুগন্ধ! কাশফুল এবং ছাতিম এখনো মনে করিয়ে দেয় ঋতুর বৈচিত্র্য।
সরেজমিনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে সাদা মেঘ যেন মাটি স্পর্শ করছে। বাতাসে ঢেউ তুলছে কাশফুল। দীর্ঘ এলাকা শুধু কাশফুলের শুভ্রতা। এদিকে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই সময়ে অনেকেই ঘুরতে আসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় । কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায় অনেককেই।
অন্তর নামের এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিবছর শরতে প্রচুর কাশফুল ফোটে। কাশফুলের সাদা রঙে চারপাশ ছেয়ে যায়। চমৎকার লাগে দেখতে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অনেক লোকজন আসে ঘুরতে।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতির সৌন্দর্যের কোনো তুলনা হয় না। এই কাশফুল প্রকৃতির বুকে ভিন্ন রকম সৌন্দর্য এনে দেয়। কাশফুল দেখলেই বোঝা যায় শরত এসেছে।
মো. হান্নান নামের এক ব্যক্তি বলেন, কাশফুল যেমন সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি ফুল ঝড়ে যাওয়ার পর কাশফুলের ডগা সংগ্রহ করে ঝাড়ু তৈরি করা হয়। অনেকেই এগুলো কেটে নিয়ে যায়।
স্থানীয় কলেজের শিক্ষার্থী মারিয়া বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচুর জন্মে কাশফুল। প্রকৃতিতে যে শরত এসেছে, তা কাশফুল না ফুটলে টের পাওয়া যেতো না। শরতের সৌন্দর্যই যেন এই কাশফুল!
তবে বহিরাগত প্রবেশে নিরাপত্তার বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সাইম বলেন, ‘পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ফুঁটেছে সাদা কাশফুল। যারাই খবর পাচ্ছেন তারাই ছুটে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সৌন্দর্যটুকু উপভোগ করতে। ছুটির দিনগুলোতে অনেক বহিরাগত লোক ঘুরতে আসে। লোকজন দেখলে আমাগো ভালো লাগে। তয় আমাগো এই সময় একটু বেশি নজরদারি রাখতে হয়।
আলাপকালে কয়েকজন জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতি পাল্টে যাচ্ছে দিন দিন।
শতব্যস্ততার মাঝেও শরৎ আসলেই নীল-সাদার এই অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে বারবার মন ছুটে যায় কাশবনে। আর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা কি বলবো এখানে ছয়টা ঋতু বিরাজ করে এবং সারাবছর ঋতুরাজ ফুলের গন্ধে সুভাষিত ও রঙ্গিন করে রাখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে।
প্রকৃতিতে শরৎ আসে নতুন রূপ নিয়ে। আর কাশফুল শরতের রূপের মধ্যে অন্যতম। এ সময় ছাতিমসহ নানা ধরনের সুগন্ধযুক্ত বুনো ফুল ফুটতে থাকে। আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা খণ্ড খণ্ড মেঘ। মেঘের ফাঁক গলে দেখা যায় স্বচ্ছ নীলাকাশ। আর ভোরে হালকা শিশির এবং মাঝেমধ্যে হালকা কুয়াশাভাব জানান দেয় দুয়ারে আসছে শীত!
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669