পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও ৫ নং ওয়ার্ডের চারিপাড়া গ্রামে সে তুলনায় অনেক পিছিয়ে। চারিপাড়া গ্রামের অধিকাংশ জায়গায় এখনো কাচা সড়ক এবং সাকো নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান। যার ফলে এখানকার মানুষ জন চরম ভোগান্তিতে বসবাস করছে।
বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুরা অনেকেই উপায় না পেয়ে বাঁশের সাকো পেরিয়ে স্কুল কিংবা মাদ্রাসায় যেতে হচ্ছে। এখানে বিশেষ করে মেয়েদের দুর্ভোগ বেশি। তাদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে নৌকায় করে। এভাবে চারিপাড়া, নেওয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ছোট পাঁচনং, বড়পাঁচ নং, কলাউপাড়া, দক্ষিন চারিপাড়া, পশুরবুনিয়া গ্রামের অবস্থা। এসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এখন পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
এবিষয়ে ১৮ নং চারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন বর্ষার দিনে জোয়ারে পানি বাড়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের বাশের সাকোঁর উপর দিয়ে যাতায়াতে ঘটছে দূর্ঘটনা। মাঝে মধ্যে তো বাচ্চারা সাকোঁ থেকে পরে গলে বই ভিজে যায়।
এই সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে অনেক লোক পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ৫নং ওয়াডের মেম্মার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন পরিষদ থেকে যতটুক সাহায্য পাই তাতে কাজ করা সম্ভব না তারপরও নিজের অর্থ ব্যবহার করে সাধারন মানুষ ও শিক্ষার্থীদের
চলাচলের জন্য নতুন সাকো করে দিচ্ছি। এছাড়া তিনি আরো বলেন তার ওয়ার্ডে ছোট বড় ২৮/৩০ মত বাশের সাকো রয়েছে।
৩ নং লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শয়কত হোসেন ত্বপন বিস্বাস বলেন চারিপাড়া গ্রামে মানুষের চলাচলের জন্য নতুন অনেক সাকোঁ দিয়েছি। তিনি আরো জানান উপজেলা মেটিংয়ে বিষয়টি কতৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছি আগামী বরাদ্দে সাঁকো গুলো মেরামত করা হবে।
সাঁকো গুলো ভেঙ্গে যদি কালভার্ট কিংবা ব্রীজ নির্মাণ করা হয় অথবা নতুন করে তাহলে এখানকার এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তির পরিমাণ কমবে এমনটাই বলছেন জনগন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669