কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশনা এবং অনলাইন বিজ্ঞপ্তি চীনের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ করে। পরে এই বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
ভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে যে গবেষণাগুলো করা হবে তা প্রকাশের আগে কেন্দ্রীয় সরকার অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই করবে। খবর সিএনএনের
তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এ ধরনের গবেষণা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। হংকংয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, একটি আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নালে কোভিড -১৯ নিয়ে একটি ক্লিনিক্যাল বিশ্লেষণ প্রকাশের জন্য তিনি চীনের গবেষকদের সহযোগিতা করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত ওই গবেষণা আগে থেকে যাচাই করা হয়নি।
তবে এখন চীনের জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গবেষকরা বলছেন, করোনা মহামারীর উৎস সম্পর্কে না জানাতেই দেশটি এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটি গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে বিশ্বের ১ লাখের ওপর মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
জানুয়ারির শেষের দিকে চীনা গবেষকরা আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নালে কোভিড -১৯ নিয়ে একটি সিরিজ প্রকাশ করে। সেখানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি, এর প্রাদুর্ভাব নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়। তবে সিরিজটি প্রকাশের পর এই প্রাদুর্ভাবের সরকারি হিসাব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
এরপর থেকেই চীনা কর্তৃপক্ষকে কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণা প্রকাশে নতুন নীতিমালা প্রনয়ণ করতে দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চীনা গবেষক জানিয়েছেন, পদক্ষেপটি উদ্বেগজনক। এই ধরনের নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণায প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করবে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্ব ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ১৮৫ জন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com