স্টাফ রিপোর্টার : বরিশারের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদ্রাসা। এক নামে মাহমুদিয়া মাদ্রাসা নামে পরিচিত। প্রতি বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে হাফেজ ও মাওলানা তৈরী হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামের খেদমত করে আসছে। সম্প্রতি একটি কুচক্রিমহল মাদ্রাসাটির সুনাম নষ্টের জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। কোন ষড়যন্ত্রে সফল হতে না পেরে একটা তুচ্ছ ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে বড় আকার ধারনের চেষ্টা করছে ঐ কুচক্রিমহল। স্থানীয় সুত্র জানায়,৩ সেপ্টেম্বর রাতে মাদ্রাসাটির হেফজ বিভাগের ছাত্র তাহমিদ মোবাইলে কথা বলে। রাতে লেখাপড়া রেখে মোবাইলে কথা বলার কারন জিজ্ঞাসা করেন হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আতিকুর রহমান। সরেজমিন প্রদর্শন কালে হেফজ বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়,তাহমিদ কে নিয়ে পেপারে যা লেখা হয়েছে তা সত্য নয়। তারা আশ্চর্য হয়ে বলেন কোন শিক্ষক কোন শিক্ষার্থীকে অতর্কিত কেন বেত্রাঘাত করবে? এ প্রশ্ন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদেরও। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব এ প্রসঙ্গে বলেন মাহমুদিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের বেতদিয়ে পিটানো নিষেধ বহু আগে থেকেই। তিনি বলেন হেফজ বিভাগে সম্পুর্ন নিষিদ্ধ বেত্রাঘাতের। তিনি বলেন প্রকাশিত সংবাদে রং দেয়া হয়েছে তাতে আমি মর্মাহত। তিনি এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
পাশাপাশি একটি ছোট ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে স্বনামধন্য মাহমুদিয়া মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট না করার আহবান জানান সাংবাদিকদের।
স্থানীয়রা জানান , একটি কুচক্রিমহল মাদ্রাসার সুনাম নষ্টের পায়তারা করছে তারা আসল সত্য ঘটনাকে আড়াল করে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তারা বলেন একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র সফল হবেনা। এব্যাপারে হাফেজ আতিকুর রহমান জানান, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত কারন আমি প্রিন্সিপালের পুত্র। তাই তাদের সহ্য হচ্ছেনা যে আমি দ্বীনের খেদমত করি। তিনি বলেন আমাকে নিয়ে যত অপপ্রচারই হোক সত্য বেড়িয়ে আসবে তদন্তে। আশা করি তাদের অসত্য মিশন সফল হবেনা। সুত্র জানায়, বিভিন্ন কারনে হেফজ বিভাগের এক শিক্ষককে হেফজ বিভাগ থেকে অপসারন করলে তিনি আড়ালে থেকে মাদ্রাসার সুনাম নষ্টের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669