আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফারইস্টের সাবেক চেয়ারম্যান কারাবন্দি এম এ খালেকের ১৫০ কোটি টাকার বাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর বারিধারায় বাড়ির প্রবেশমুখে জব্দ সংক্রান্ত আদালতের আদেশ টাঙিয়ে দেয় পুলিশ। অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে করা এক মামলায় ওই আদেশ দেন আদালত।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানান, এম এ খালেকের বিরুদ্ধে ৫১৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সিআইডি। এরমধ্যে গত ৯ জানুয়ারি আদালত এই বাড়ি জব্দের আদেশ দেন। সেই আদেশই সিআইডির পক্ষ থেকে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।
সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, উদ্যোক্তা এম এ খালেক বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, বিমা, সিকিউরিটিজ কোম্পানিসহ অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁর বিভিন্ন কোম্পানি থেকে টাকা সরিয়ে ওই বাড়ি কিনেছিলেন, যা অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান কানাডায় বসবাস করছেন। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১০ সাল থেকে নিজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টাকা স্থানান্তর শুরু করেন এম এ খালেক। পরের ৮ বছরে তিনি সরিয়ে ফেলেন ১ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা।
বাড়ির সামনে টাঙিয়ে দেওয়া আদেশে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান পদে থেকে এম এ খালেক প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩৫ কোটি টাকা আয় করেছেন। ওই অর্থ তিনি কানাডায় পাচার করে বাড়ি কেনাসহ সম্পদ গড়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া দেশে নামে-বেনামে সম্পদ রয়েছে তাঁর।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com