সাব্বির আলম বাবুঃ
ভোলা-বরিশাল-নোয়াখালী সহ নদীমাতৃক বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা-উপজেলার বিভিন্ন নদী যেমন- মেঘনা, তেঁতুলিয়া,পায়রা,শাহবাজপুর,লোহালিয়া ইত্যাদি ও বঙ্গোপসাগর মোহনায় জেগে ওঠা চরাঞ্চলের সাহসী মানুষেরা উত্তাল সাগর-নদীর রাক্ষসী ঢেউয়ের সাথে লড়াই করে টিকে থেকে আমাদের দেশের মাছে-ভাতে বাঙ্গালীর জন্য ধরে আনে রুপালী ইলিশ সহ নানা রকম বাহারী মাছ। যা দেশের আমিষের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে, সেই সাথে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। যখন জলাশয়ে মাছ শিকারের মৌসুম থাকে না কিংবা বিভিন্ন কারনে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে তখন জেলে পল্লীর বেকার লোকেরা শুটকী মাছের ব্যবসা করছে।জানা যায়, যখন নদী-সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকে তখন জেলেরা নানা প্রজাতির ছোট-বড় মাছ যেমন- ছুঁড়ি, লইট্টা, চিংড়ী, টেংরা, অলুফা, ইলিশ ইত্যাদি ধরে কেটে পরিষ্কার করে নদীর পাড়ের খোলা জায়গায় যেখানে সূর্যের আলো ও উত্তাপ সরাসরি পরে, সেখানে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুকাতে দেয়া হয়। এভাবে ৩ থেকে ৭ দিন পরে সেগুলো ঝড়ঝড়ে হলে তা শুটকীতে রুপান্তরিত হয়। এই কার্যক্রমে জেলে পরিবারের সকল সদস্য নারী-পুরুষ এক সাথে কাজ করে। মূলত আশ্বিন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত শুটকী তৈরীর মৌসুম। নদীতে মাছ না ধরার কারনে বেকার জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য তৈরীকৃত শুটকী পাইকারেরা কিনে তা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com