ডয়চে ভেলে
পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের জন্য রাশিয়াকে আপাতত সরাসরি দায়ী করা না হলেও ইউক্রেন সংকটের ঝুঁকি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের জন্য যে রাশিয়া সরাসরি দায়ী নয়, সেই বাস্তব সামনে আসতে আপাতত উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। গোটা দেশজুড়ে রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেন যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তুলেছে, সেই কাঠামোর এক ক্ষেপণাস্ত্রই পোল্যান্ডে অঘটন ঘটিয়েছে বলে আপাতত জানা গেছে। পুরানো সেই এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া ও ইউক্রেন-দুই পক্ষই ব্যবহার করে বলে সহজে সংশয় কাটছে না।
তবে ঘটনাস্থলে তদন্তের কাজে ইউক্রেনও অংশ নিতে চায়। কারণ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি এখনো ক্ষেপণাস্ত্রের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিন্ত নন। ন্যাটোর রাষ্ট্রদূতরা ব্রাসেলসে এক জরুরি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরু করার জন্য সার্বিকভাবে রাশিয়াকেই দায়ী করেছেন।
জাতিসংঘও পোল্যান্ডের ঘটনার জের ধরে বাড়তি উত্তেজনা সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তিরক্ষা বিষয়ক প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনা বাড়তি উত্তেজনা এড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
তার মতে, যুদ্ধ অবসানের কোনো চিহ্ন এখনো দেখা যাচ্ছে না। ফলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ও তার মারাত্মক পরিণতির ঝুঁকি অত্যন্ত বাস্তব। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার ‘অপ্রয়োজনীয়' হামলা ও সম্প্রতি সে দেশের অবকাঠামোর উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেন।
এদিকে জরুরি অবকাঠামোর উপর রাশিয়ার সর্বশেষ হামলার কারণে রাজধানী কিয়েভ-সহ দেশের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি সামলে প্রশাসন আবার পরিষেবা যতটা সম্ভব চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত প্রায় নয় মাসের যুদ্ধে রাশিয়া এর আগে একসঙ্গে এত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নি বলে ইউক্রেন জানিয়েছে।
ইউক্রেনের পূর্বাংশে দখলদারী রুশ বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনের সৈন্যদের সংঘাতও জারি রয়েছে। দনিয়েৎস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে জোরালো সংঘর্ষের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ওলেক্সি আরেস্তোভিচ। খেরসন শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও রুশ বাহিনী দনিয়েৎস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে বলে ইউক্রেনের বাহিনী মনে করছে। এর আগে খারকিভ-সহ যে সব এলাকা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল, সেগুলি পুনর্দখলেরও চেষ্টা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। মার্কিন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলে-র মতে, ব্যর্থতা সত্ত্বেও এখনো ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর যথেষ্ট সামরিক শক্তি থাকায় অদূর ভবিষ্যতে তাদের পুরোপুরি পরাজিত করার সম্ভাবনা কম।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com