আমতলী (বরগুনা) ৩০ অক্টোবর ২০২২:
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই ২ গ্রুপের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের আমতলী ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।জানা গেছে, রোববার দুপুর ১২টায় আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতেই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম মৃধা বক্তব্য দেন। পরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী জিএম ওসমানী হাসান বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যের পরপরই উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।
তাৎক্ষনিক কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এর প্রতিবাদ করেন আমতলী পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরোয়ার ফোরকান মিয়া।
এ নিয়ে ২ গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই সম্মেলন স্থান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সভাস্থলের চেয়ার ভাংচুর করে। নেতাকর্মীরা ছোটাছুটি করে সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন। আমতলী একে স্কুল এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল অঞ্চল) অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও শাম্মী আহম্মেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার দুই পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তাদের সামনেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান ও তার পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছাকে পিটিয়ে আহত করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কেন্দ্রীয় নেতারা নিবৃত করতে না পেরে তারা সভা মঞ্চ ছেড়ে নিরাপদে চলে যান। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা আবার সভাস্থলে এসে সম্মেলন শুরু করেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সম্মেলনে মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কমিটিতে পদ পদবি না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
ওই সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ, সদস্য মো. আনিসুর রহমান ও গোলাম রাব্বানী চিনু প্রমুখ। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশন না করেই চলে যান।
আমতলী পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা বলেন, আখতারুজ্জামান বাদল খানের উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করেছে। এ হামলায় আমর পক্ষের ১৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খানের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, জিএম মুছা ও তার ভাই হাসান, নাজমুল হাসান নান্নু, ফোরকান মিয়া, শাহজাহান কবির ও গাজী সামসুল হক সম্মেলন গণ্ডগোল করতেই সভা মঞ্চে এসেছে এবং তারাই সম্মেলন বানচাল করতেই সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের কঠোর হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com