‘একটা জিনিস মনে রাখবেন, সারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমতলীতে আসেন, একটা প্রোগ্রাম করেন, তাহলে আমতলীর যিনি মেয়র, ওই মেয়রের কাছ থেকে তিনি পারমিশন নেন ওই তারিখের। এটা আপনারা জানেন কিনা জানি না? ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভা হলে তার (মেয়র) কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তারপর প্রোগ্রাম সিলেক্ট হয়।'
আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচনে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে নৌকা প্রতীকের এক সভায় মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লা।
তার এমন বক্তব্যের ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে এবং এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সবার অভিযোগ, পৌর মেয়র পদ এতই বড় যে, প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম করতে হলেও মেয়রের অনুমিত নিতে হয়। দ্রুত আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সোহেল মোল্লার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন হাওলাদার, সাবেক চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য মো. নাশির মোল্লা ও মতিয়ার রহমান হাওলাদারসহ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, পৌর মেয়র পদ কি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বড়? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমতলীতে আসতে হলে পৌর মেয়রের অনুমতি লাগবে। এমন জঘন্য বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন হাওলাদার সভায় উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, নৌকা প্রতীকের সভায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বক্তব্যে দলের চেইন অব কমান্ড বুঝাতে চেয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রোগ্রাম করতে হলে পৌর মেয়রের অনুমিত লাগবে এটা কেমন কথা?
তবে তিনি আরও বলেন, পুরো ভিডিও শুনলে হয়তোবা বোঝা যেত তিনি কী বুঝাতে চেয়েছেন?
এ বিষয়ে আঠারোগাছিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান বলেন, ভিডিও আমি শুনেছি। এত বড় ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য কেন তিনি দিয়েছেন তা আমার জানা নেই? এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আমার কাছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফোন দিয়ে নিন্দা জানাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি এ ভিডিওর বিষয়টি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগকে জানাব। তারা যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন সেই অনুসারে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com