মো: মনির আকন ,মঠবাড়িয়া : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শাম্মী আক্তার (৪০) নামে এক বিউটিশিয়ানকে বালিশচাপায় হত্যার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেমে করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল দশটায় শহরের কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
নিহত ওই বিউটিশিয়ান তার স্বামীর সাথে স্কুল শিক্ষিকা আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রীর পরকিয়ার অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় স্বামী ও তার প্রেমিকা আপন ভাবি মিলে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। নিহত শাম্মী মঠবাড়িয়া পৌরশহরের কে.এম লতীফ সুপার মার্কেটে একটি শাম্মী বিউটি পার্লারের স্বত্তাধিকারি।
এদিকে এ হত্যাকা-ের ঘটনায় শহরের কে এম লতীফ ইনস্টিশনের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকা আয়শা খানম ও নিহত বিউটিশিয়ান শাম্মীর স্বামী সিরাজুস সালেকীন এর দ্রুত বিচার দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের ও গুরুত্বপূরর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয়ের সম্মুখ সড়কে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্ত্য দেন স্কুল শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, গোলাম রাব্বি, কামরুল হাসান, মো রাকিব ও মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ। এসময় ব্ক্ষিুব্ধ শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আয়শা খানমকে বহিষ্কার ও হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবি জানান।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিউটিশিয়ান শাম্মি আক্তারের সাথে ফিরোজ আলমের প্রথম বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান থাকা অবস্থায় গত ১২ বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর শাম্মী বিউটি পার্লারের ব্যবসা শুরু করে দুই সন্তানের লেখাপড়া চালিয়ে আসছিলেন। গত দুই বছর আগে সিরাজুস সালেকিন নামে এক তরুণের সাথে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। আপন ভাবি স্কুল শিক্ষকা আয়শা খান এ বিয়ে মধ্যস্তা করেন। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে শাম্মীর স্বামী সালেকিন এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়া আসেন। বিবাহ বাাির্ষকী অনুষ্ঠানের জন্য গত রবিবার রাতে স্বামী সালেকিন ও ভাবি আয়শা খানম তাদের থানাপড়ার ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। রাতের খাবার শেষে শাম্মি তার স্বামীকে নিয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের আলাদা কক্ষে ভাবি আয়শা খানম ঘুমান। রাত তিনটের দিকে শাম্মি ঘুম থেকে জেগে স্বামীকে বিছানায় না পেয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে ভাবির কক্ষে ঢুকে দুজনকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দেখতে পায়। এনিয়ে ঝগড়াঝাটি বাঁধে। এক পর্যায় স্বামী সালেকীন ও ভাবি আয়শা মিলে শাম্মীর মুখম-লে বালিশ চেপে ধরে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। পরে পুলিশ হাসপাতাল হতে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর ছেলে সাইম আলম (১৭) বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ সিরাজুস সালেকীন (৩৩) ও আপন মামি স্কুল শিক্ষিকা আয়শা খানম (৫০)কে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃত স্বামী শেখ সিরাজুস সালেকীন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের শেখ মোহম্মদ আলীর ছেলে এবং আয়শা খানম মঠবাড়িয়া শহরের কেএম লতীফ ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র শিক্ষিকা ও পার্শবর্তী শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের এমাদুল হকের স্ত্রী।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com