অনলাইন ডেস্ক :
কখনো যাত্রীবেশে, কখনোবা সহায়তার অজুহাতে, আবার কখনো কেবিন বয় সেজে লঞ্চের টার্গেট যাত্রীর স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় ওরা। এমন একটি আন্তঃজেলা চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ। ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সরেজমিন জানা গেছে, ঢাকা নদীবন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে একটি আন্তঃজেলা চোর চক্র প্রায় হানা দিয়ে কেবিন যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে সটকে পড়ছে।
১৪ সেপ্টেম্বর রাতে এমভি সুরভী-৭ লঞ্চের ৩০৫ নম্বর কেবিনের দরজা লক ভেঙে চক্রের দুই সদস্য হানা দিয়ে ঝরনা বেগম নামে এক যাত্রীর ৪ ভরি স্বর্ণ, ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হাতিয়ে নেয়। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও নৌ পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চুরির বিষয়টি উদ্ঘাটন করে।
এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে। পরে সদরঘাট নৌ থানার এসআই রেজাউল করিমের নেতৃত্বে ওই চক্রের দুই সদস্যকে ঢাকা নদীবন্দরের পন্টুন থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করে। তাছাড়া তাদের চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।
গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে কেবিনের ডুপ্লিকেট চাবি ও কেবিনের দরজার লক ভাঙার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার চক্রের সদস্যরা হলো বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সাহেব আলি বিশ্বাসের ছেলে খাইরুল ইসলাম বিশ্বাস ও খালেক হাওলাদারের ছেলে স্বপন হাওলাদার।
এছাড়া পলাতক অন্য সদস্যরা হলো বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আইয়ুব আলী মুসল্লীর ছেলে মিজান মুসল্লী ও হোসেন খাঁর ছেলে মাসুদ খাঁ।
পুলিশের কাছে আটক চক্রের সদস্যরা বলে, তারা লঞ্চের টার্গেট যাত্রীর স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিত। এ ছাড়া অনেক সময় যাত্রীদের ছুরিকাঘাত করে নদীতে ফেলে দিত।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি শফিকুর রহমান খান বলেন, আন্তঃজেলা চোর চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে লঞ্চের যাত্রীদের টার্গেট করে অভিনব পন্থায় সর্বস্ব কেড়ে নিত। গত এক বছরে তারা অন্তত ২০টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। চক্রটির অন্তত ২৫-৩০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com