বাংলা নববর্ষে বাসদের বিনামূল্যের ‘মানবতার বাজার’ ভরে উঠেছিল ইলিশ মাছ, পাট শাক, লাউ, মুড়ি, জিলাপীসহ বিভিন্ন বৈশাখী পণ্যে। এছাড়া প্রতিদিনের মতো চাল, ডাল, পিঁয়াজ, আলু, তেল, সবজী তো ছিলই।
এসময় বাসদের আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে এক এবং একাকার হয়ে আছে। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের মহামারীর এই সময়ে আমরা আমাদের এই ঐহিত্যকে হতদরিদ্রদের সাথে ভাগাভাগি করতেই এই ‘বৈশাখী মনবতার বাজার’ এর আয়োজন করেছি।
বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, এই সংকটময় মুহুর্তেও আমাদের নববর্ষের যে চেতনা, অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তি জাগ্রত হওয়ার যে চেতনা সেই চেতনাকে ধারণ করে বরিশালের দুস্থ মানুষদের মধ্যে বৈশাখি খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করে আমাদের নতুন বছরের বার্তাটি সকলের মাঝে নিয়ে যেতে চাই। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে চাই।
যারা এই দু:সময়ের মধ্যেও নববর্ষ পালনের এমন ব্যতিক্রমী আয়োন করেছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানায়। এবারের এই বৈশাখকে বলা হচ্ছে কাল বৈশাখ। আমরা প্রত্যাশা করি অবিলম্বে আমাদের উপর সমস্ত অপশক্তির প্রভাব থেকে আমরা মুক্ত হতে পারবো।
চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজের, তেল, সবজীর সাথে বৈশাখি পণ্য ইলিশ মাছ, মুড়ি, জিলাপী, পাটের শাক পেয়ে ‘মানবতার বাজার’ এ আসা সবাই বেশ খুশি। তাদের অনেকেই বলেন, স্বাভাবিক সময়েও আমরা ইলিশ মাছ কিনতে পারি না। কিন্তু আজকের এই মানবতার বাজার থেকে আমরা বৈশাখের অনেক কিছু পেয়েছি। আমাদের ছেলে মেয়েরাও এগুলো দেখে খুব খুশি হবে।